প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২২ , ৫:০৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল নগরীতে ব্যস্থসময় কাটাচ্ছেন কামার শিল্পিরা। নগরীর হাটখোলা কামারপট্টি ঘুরে দেখাগেছে এমন দৃশ্য নেই টুং টাং শব্দে মুখরিত পরিবেশ। নগরীর হাটখোলা কামার পট্টি থেকে হেঁটে গেলেই দেখা যেত আগুনের হাওয়া আর টুং টাং শব্দে আলোকিত। সামনে ঈদুল আযহার উপলক্ষে একমাস আগে থেকে সাজিয়ে বছে আছে কামারশিল্পিরা। তেমন কোন চাহিদা নেই দা, ছুরি, কাটারির। আয় না থাকায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে কামাররা। ভাটিখানা কামার ব্যবসায়িক বলেন সুদীর্ঘ ৪২ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আয়ের চেয়ে খরচ অনেক বেশি। দা, ছুরি, বটি ও চাপাতির প্রতি একেবারেই চাহিদা নেই। তাই ব্যবসাও নেই।
কর্মহীন হওয়ায় আয় রোজগার নেই পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একই অবস্থা বরিশালের সকল কামার ব্যবসায়িকদের । তারা বলছেন, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আশা ছিল আবারও কামার ব্যবসা জমে উঠবে এ বছর। কিন্তু লক্ষ্য থাকলেও আয় করা অনেক মুশকিল। এমন অবস্থা চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে কামারদের। তারা আরও বলেন, কামারিরা প্রায় ১ মাস পূর্বে থেকে কোরবানীর পশু কাটতে শত শত ছোট-বড় ছুরি, কাটারি গরু জবাই ও মাংস কর্তনের লক্ষ্যে মজুদ করে রাখে।
কামারের দোকানে আসা সজীব নামে এক ক্রেতা জানান,
কুরবানীর আগে কামারের দোকানে ভিড় থাকে। এবছর ভিড় না থাকায় লোহা কিনে নিয়ে চাহিদানুযায়ী চাপাতি ও দা বানিয়ে নিয়েছি। এদিকে নতুন সরঞ্জাম কেনা ও মেরামত বাবদ একটু মূল্য বেশি ধরায় কামার দোকানদারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, বর্তমানে কয়লা ও রডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মূল্য একটু বৃদ্ধি করতে হয়েছে। তবে ঈদ ছাড়া অন্যসময় কম রাখা হয় বলে স্বীকার করেন কামার শিল্পীরা। কামার শিল্পীরা মনে করেন সরকারী কোনো আর্থিক সহযোগিতা না পেলে হয়তো এই শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে।