• আইন ও আদালত

    গলাচিপায় বৈশাখীর মেলায় চলছে জুয়ার আসর

      প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:৫৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার

    প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এই জুয়ার আসর বসানো হলেও সবাই রয়েছেন নির্বিকার। জুয়ার আসরের খবরই জানেন না উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ১৪ ই এপ্রিল থেকে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ মাঠে বৈশাখী মেলার নামে এই জুয়ার আসর চলে আসছে।
    জানাগেছে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি বৈশাখী মেলার আয়োজন করে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন। গত ১৪ এপ্রিল ১লা বৈশাখ এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

    উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এ মেলা চলছে এখনো। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেলা মাঠের প্রবেশ দ্বারে উত্তরপাশে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের স্টল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দক্ষিণ পাশের অংশে ও পুকুর পাড় জুড়ে ১৫টি জায়গায় বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। রাত সাড়ে ১০ টার মধ্যে এই বৈশাখী মেলার সকল আয়োজন বন্ধ করার কথা থাকলেও শুধু জমজমাট জুয়ার আসর টিকিয়ে রাখতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার রমরমা বানিজ্য।

    জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে এই জুয়ার আসরে। প্রতিটি জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে হাজার হাজার টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। স্থানীয় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিদিন উপজেলা শহরের ব্যস্ততম এলাকা উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রকাশ্যে এই জুয়ার বোর্ড চালানো হচ্ছে সবকিছু ম্যানেজ কটেই। গলাচিপা থানায় ৩ লাখ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে এই জুয়ার আসর চালাচ্ছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। এই টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় মাঝখানে ২দিন জুয়ার বোর্ড বন্ধ করে।

    রাখা হয় বলেও মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট একজন নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে যুগান্তরকে জানান। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি। সবাইকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে মেলা ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনার জন্য টাকা উঠানোসহ সব কিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জহিরিন্নবী। ১৫টি জায়গায় কাপর টানিয়ে বসানো হয়েছে এই জুয়ার আসর। আরএসব জুয়ার বোর্ড থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা তুলছেন মৎস্য কর্মকর্তা নিজেই।

    ২০ এপ্রিল রাতে প্রকাশ্যে উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনেই জুয়ার আসর বসানো নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ফোনদিলে তিনি সাংবাদিক জানান ওটা জুয়া না এটাও বৈশাখী মেলার একটা অংশ। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ফোন দিলে তিনি বলেন কি বলেন আমি এখনই দেখছি, ওসি বলচি সব বন্ধ করে দিতে। আর কাকে টাকা দিছে ভালো ভাবে আপনি জানুনতো। মৎস্য কর্মকর্তা এবিষয়ে বলেন,তারপরও আপনারা (সাংবাদিকরা) বললে বন্ধ করে দিব। একথা বলার পর থেকে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখায় আর তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    পুলিশ পাহাড়ায় গলাচিপায় বৈশাখী মেলার জুয়ার আসর বসানোর ব্যাপারে স্থানীয় থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম খান যুগান্তরকে বলেন, আমি বেতন ভাতা মিলিয়ে অনেক টাকা পাই, আমার জুয়ার টাকা নেওয়ার দরকার নেই। তিনি এই প্রতিবেদকের সামনেই কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে ফোন বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর বন্ধ করার নির্দেশনা দিলে মোবাইলের অপর প্রন্ত থেকে বলতে শোনা যায় যে ইউ এন ও স্যারের অনুমতি নিয়ে এটা ( জিঅর আসর) চালানো হচ্ছে। তারপরও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সামনে বসে জুয়ার আসর বন্ধ করার নির্দেশনা দিলে পরবর্তীতে পুরো মাঠ জুড় জুয়ার আসর আালানো হয়।

    এ ব্যপারে গলাচিপস উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর চলানোর ঘটনা জানতে নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেলা উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মহিউদ্দিন আল হেলাল এর ডাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এখনই দেখছি কোথায় কিভাবে জুয়া চলছে। ওসি সাহেবকে বলে এখনই বন্ধ করে দিচ্ছি বলে জানান তিনি।

    এ বিষয় গলাচিপা উপজেলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফেরদৌস সাংবাদিকদের জবাবে বলেন, আমাকে ইউ,এন,ও ফোন করনি আপনারা কি জন্য এসেছেন উপজেলা পরিষদে বৈশাখি মেলায় জুয়া চলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটাতো জানতাম না।আপনাকে ৩ লক্ষ টাকায় ম্যানেজ জরে চলছে প্রতিউত্তরে জানান আমি এখনই মেলা বন্ধের ব্যবস্থা করছি বলে জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ