• আইন ও আদালত

    সুজানগরে নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশের গুলি পুলিশ ও মহিলা সহ আহত-১২

      প্রতিনিধি ২ মে ২০২৪ , ১১:৫৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    পাবনা প্রতিনিধি:

    আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সুজানগরে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে শাহীনের দুই সমর্থক গুলিবিদ্ধ। পুলিশ ও মহিলা সহ ১২ জন আহত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দুই জন গুলিবিদ্ধ ও পুলিশ মহিলা সহ ১২ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ভায়না গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বাদশা (৫০),সেকেন শেখের ছেলে আব্দুল মতিন (৫০), আবুল হাসেমের ছেলে রাহাদ (১৮),

    আব্দুল মজিদ প্রামাণিকের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪২), দুলাল প্রামাণিকের স্ত্রী বেগম (৬০), খোরশেদ প্রামাণিকের স্ত্রী ঝর্না খাতুন (৫০), হোসেন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মজিদ (৬০), পুলিশের এসআই মনসুর আলী (৪৪), পুলিশ সদস্য আশরাফুল (২৮), মাসুদ রানা (২৭), শহীদুল হক (৪৪)। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত বাদশা ও মতিনের অবস্থার অবনতি হলে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বাকিরা সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন জানান,আমরা আমাদের লোকজন নিয়ে বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলাম।

    হঠাৎ করেই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থকরা ঢাল ফালা ও বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী বাদশা জানান,আমরা দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন অফিসে অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ করেই চিৎকার চেঁচামেচি শব্দ শুনতে পাই। আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দিকে। একটু পরেই দৌড়ে এসে একজন বললো আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে।

    এরপর পরই পুলিশের গাড়ি চলে আসলো শুরু হলো গুলি। তিনি আরো বলেন, আমাদের লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ আবার আমাদের কয়েকজন সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীন একে অপরকে দোষারোপ করতে করছে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের উপর হামলা করলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ