• সারাদেশ

    গলাচিপায় মহিলা আঃলীগ নেত্রীকে অমানবিকভাবে মারধর প্রান নাশের হুমকি

      প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২৩ , ১০:২৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে মোসাঃ নুরজাহান বেগম (৪৫), নামে এক আওয়ামীলীগ নেত্রীকে মারধর করার উঠেছে একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাম ফকিরের ছেলে জাকির ফকির (৩৫), ও ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলেফ হাওলাদার এর ছেলে বশির হাওলাদার (৩৫) এর বিরুদ্ধে। আহত নুরজাহান গলাচিপা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, গোলখালী ইউনিয়নের মহিলা সম্পাদিকা, মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক ও ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য। ঘটনাটি গত ২০’জুলাই গোলখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জুলেখার বাজার এলাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুর্বে মেম্বার থাকাকালীন সময়ে ফেয়ার কার্ড নিয়ে জাকির ফকির এর সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছিলো এছাড়াও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ও সে বিরোধী দলের সমর্থক। ঘটনার দিন জুলেখার বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যার পরে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে জাকির ও বশির। আমি গালাগালির প্রতিবাদ জানালে এলোপাতাড়িভাবে বুকে পেটে কিল-ঘুষি মারে। এতে আমার অপারেশন এর স্থানে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। এসময় তার সাথে বশির হাওলাদার ও আমাকে লাথি ও ঘুষি মারে আমার পরনের কাপড় চোপর টেনে লজ্জা শ্লীলতাহানি ঘটায়। একপর্যায়ে চুলের মুঠি ধরে পাশের বিদ্যুৎ খুঁটির সাথে ধাক্কা মারলে মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গিয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে রক্ষা করে।

    এসময় মারধরকারীরা জনসম্মুখে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নুরজাহানকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের পরে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হসপিটালে রেফার করেন। এদিকে নুরজাহান বেগম একজন অপারেশনের রোগী হওয়ায় বিবাদের লাথি ঘুষিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে বর্তমানে হসপিটালের ২ নং ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।

    এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু বলেন, নুরজাহান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ইউনিয়ন মহিলা সম্পাদিকা তাকে যারা মারধর করেছে অবশ্যই অন্যায় করেছে। এছাড়াও সে মহিলা পুরুষ যদি রাস্তায় বসে কোন নারীকে মারধর করে সেটা আইনের দৃষ্টিতে ও বড় অপরাধ। আমি ঢাকায় আছি আমাকে ঘটনাটি অবহিত করেছে। শীগ্রই গলাচিপা এসে দলীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

    ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার বলেন, আমি বিষয়টি আমি শুনেছি খুবই দুঃখজনক। নুরজাহান আমার ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য। তার চিকিৎসা চলছে এব্যাপারে নুরজাহান আইনগত ব্যবস্থা নিলে চেয়ারম্যান হিসেবে যতটুকু সহযোগিতা ও পদক্ষেপ দরকার সেটা থাকবে বলে জানান।

    ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হালিম হাওলাদার বলেন, ব্যাপারটা দুঃখজনক এভাবে একজন নারীকে রাস্তায় বসে মারধর করা আইনগতভাবে গুরুতর অপরাধ। এছাড়াও নুরজাহান ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের মহিলা সম্পাদিকা ও সাবেক মেম্বার সে দলীয় একজন কর্মী হিসেবে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন তাকে করা হবে। নুরজাহানকে হসপিটালে দেখতে গিয়েছি তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে একটু সুস্থ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ