• বরিশাল বিভাগ

    অহংকার, দাম্ভিকতা আর অভিশাপে ডুবালো সাদিকের নৌকা

      প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:১৬:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রানিং মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দৌড়ে হারিয়ে তারই চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত।

    এরই মধ্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সাদিক আবদুল্লাহর হিরো থেকে জিরো হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করছে। এতে একটা বিষয় ফুটে উঠেছে সেটা হলো দাম্ভিকতা ও অহংকার। মেয়রকে নিয়ে কেন এত তিক্ততা এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের নেতারা বলছেন,অহংকার, দাম্ভিকতা ও জন সম্পৃক্ততা না থাকার কারণে এমন ফল পেয়েছে সাদিক আবদুল্লাহ।

    ক্ষমতার চেয়ারে বসে তিনি নিজেকে সবচেয়ে শক্তিশালী শোষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেবক হিসাবে নয়।কথায় কথায় সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে করতেই কাটিয়ে দিয়েছেন সারে চারটি বছর।

    ২০১৮ সালে মেয়রের চেয়ারে বসার পর থেকে শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত সহ অনেক কর্মচারীদের বেতন ভাতা এখন পর্যন্ত বন্ধ রেখেছেন তিনি। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের গভীর রাত পর্যন্ত তার কালি বাড়ী সরকের বাসভবনে বসিয়ে রাখতেন।

    সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ডেকে বাসায় পাঠাতেন, তার ডাকে সারা না দিলে করতেন অপমান অপদস্ত। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সরকারি কর্মকর্তা সহ অতিষ্ঠ ছিলো সবাই, এতো দিন ভয়ে মুখ খুলতে পারনি কেউ।

    স্থানীয় প্রশাসনের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক নেই মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর।বেশ কয়েকবারই প্রশাসনের সাথে জড়িয়েছেন বিরোধে।এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের গায়েও হাত তুলেছেন বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারনে দলের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা মেয়রের একক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পেতেন না।

    ২০২১ সালে ১৮ আগষ্ট রাতে ইউ নো এর হামলা ছিলো তখনকার আলোচিত ঘটনা। মেয়রের অনুসারীরা মন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমের ব্যানার অপসারণ করলে বাধা দেওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

    আরেকটি আলোচিত ঘটনা ছিলো, গত ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা স্কুল কেন্দ্রে দলবলসহ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে না কারার অনুরোধ করলে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইস্টুপিট বলে গালি দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।এ ছাড়াও সিটিবাসীকে বিভিন্ন ধরনের বিপাকে ফেলে সমালোচিত হোন তিনি।

    তাইতো আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পেলে বরিশাল সিটিতে খুশির বন্যা বইতে শুরু করে।মিষ্টি বিতরণ সহ বরিশাল নগরী আগে পরাধীন থালেও এখন স্বাধীন বলে মনে করেন অনেকে। মুলত অহংকার, দাম্ভিকতা আর অভিশাপেই ডুবালো সাদিকের নৌকা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ