• আইন ও আদালত

    মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২৩ , ১০:২১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মহসিন মীর-(বাউফল) প্রতিনিধি:

    আবুল গাজী(৫০) নামের এক ব্যাক্তির সাথে স্থানীয় কাশেম গাজীর(৪৫) মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামরি হয়। ওই ঘটনায় একই দিনে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তির মাধ্যমে সালিশ মিমাংসাও হয়। কিন্তু একদিন পরে আবার সে ঘটনার জেরে হামলার শিকার হন আবুল গাজী। এমন ঘটনা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ি এলাকায়। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মমিনপুর চর সংলগ্ন নদীতে মাছ ধরতে আসেন একই এলাকার কাশেম গাজী ও আবুল গাজী। জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

    ওই ঘটনায় স্থনীয়দের সহায়তায় একই দিন বিকাল ৫টার দিকে আপোষ-মিমাংসা হয়। পরের দিন শুক্রবার জুম্মার শেষে আবুল গাজী নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে কাশম গাজীর নেতৃত্বে তার ছেলে রাব্বি(২৫), জিহাদ(১৮), ফয়সাল(৪০), জিহাদ ও রাজিবসহ ১০/১৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আবুলের উপর হামলা চালায়। কাশেম দৌড়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নিলেও তাকে বাচাঁতে তার বৃদ্ধ মা এগিয়ে এলে তাকে এলোপাথারি পিটিয়ে জখম করা হয়। এসময় তার বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে এলে তাদেরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

    আবুল গাজী বলেন, শাহজাহান মেম্বর অত্যান্ত প্রভাবশালী লোক। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়। সারা বছর ধরে আমাদের উপর অত্যাচর করে। সে আমাদের জায়গা-জমিন দখল করে নিয়েছে। ক্ষমতার বলে আমরা তার সাথে পারছি না। কালকের ঘটনা মিমাংসার পরও মেম্বরের ইশারায় আমাকে আবার মেরেছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত কাশম গাজীর ভাই ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য বাহিরে আছি। ঘটনার পর থেকে সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি কিন্তু কেউ আমার কথা মানছেন না।
    বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ