• বরিশাল বিভাগ

    স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কুয়াকাটার হোটেলে ৪ স্কুল শিক্ষার্থী, রুমে মিললো কিশোরীর লাশ

      প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২২ , ১২:১৩:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাদিকা ইসলাম ওরফে রিচি (১৮) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই কিশোরী শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, শরীয়তপুরের স্কুলপড়ুয়া চার বন্ধু কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠেছিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে। ওই হোটেল থেকেই তাদের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রোজগার্ডেন হোটেলের চারতলার ডি-৩ নম্বর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল রোজ গার্ডেনের দুটি আলাদা কক্ষ ভাড়া নেন শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ গ্রামের মিথিলা, রোজিনা আক্তার,রায়হান ও রিফাত নামে চার জন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করেন কিশোরী ও যুবকরা।

    সোমবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা চার জনের একটি পর্যটক দলের একজন কিশোরীকে রুমে রেখে অন্য তিনজন সৈকত ঘুরতে যান। সমুদ্র দর্শন শেষ করে ঐ তিনজন এসে হোটেলের রুম ভিতর থেকে আটকানো দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে কর্তৃপক্ষ মহিপুর থানায় খবর দেয়। মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জানালা দিয়ে ওই কিশোরীকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত কিশোরীর মামা সজিব রায়হান জানান, বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। বান্ধবীর বাড়িতে না গিয়ে সে যে কুয়াকাটায় গিয়েছে, তা জানা ছিল না কারো। হোটেলে কিশোরীর রুমমেট ছিল যে কিশোর, সেও বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল বলে জানান তার বাবা উজ্জল খান। তবে এই দুজনের মধ্যে প্রেমঘটিত কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তা বলতে পারেননি কেউই।

    হোটেলে ওঠা অন্য কিশোরীও বাসায় মিথ্যা বলে কুয়াকাটায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা। তিনি জানতেন তার মেয়ে স্কাউটসের ট্রেনিংয়ে আছে। এই কিশোরীর রুমমেট কিশোরও মিথ্যা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, বিয়ে তো করেইনি, বরং সে খালার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে গিয়েছে।

    এ ব্যাপারে দক্ষিণ বাংলা সংবাদের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য তার সাথে থাকা তিনজনসহ হোটেলের ম্যানেজারকেও নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে আরও বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলে কীভাবে রুম পেলো তারা? এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করা হবে।বিশ্লেষণ শেষেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ