• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩,শ্লীলতাহানির অভিযোগ ২ নারীর।

      প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ৫:৫৮:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ২ নং বদরপুর ইউনিয়নের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন গুরুতর আহত ও দুই নারীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত বুধবার (২৬’মে-২০২১ ইং) তারিখ আনুমানিক বিকেল ৫.৩০ মিনিটের সময় অত্র ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের আবাসন সংলগ্ন মন্টু খানের মুদি দোকানের সামনে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।

    আহতরা হলেন, আল-আমিন মৃধা (২৫), লিটন মৃধা (৩৫), ফোরকান মৃধা (৫৫), উভয় পিতাঃ মৃত মজিদ মৃধা।হামলাকারী হলেন, [১]. শানু আকঁন (৫৫), পিতাঃ মৃত কালু আকঁন, [২]বেল্লাল আকঁন (২৮), [৩].নাজমুল আকঁন (২২), [৪].ইমরান আকঁন (১৮), উভয়-পিতাঃ শানু আকঁন, [৫]. মঞ্জু আকঁন (৪২), পিতাঃ মৃত কালু আকঁন, [৬]. সিদ্দিক মৃধা (৪৫), [৭]. নিজাম মৃধা (৪০), উভয় পিতাঃ সামেজ মৃধা।

    ২৬ মে রাত ৯ টার সময় এবিষয়ে মৃত- হাজি আমজেদ আলী খাঁনের ছেলে মোঃ মোতালেব খাঁন বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে অত পেতে থাকা বিবাদিরা এ হামলা চালায়।

    উল্লেখিত বিষয়ে আরও বলা হয় বিবাদিরা এলাকার সন্ত্রাসী ত্রাস প্রকৃতির লোক তাদের জনবল বলিয়ান, এছাড়াও মাদক সেবন ও অন্যের জমি জোর পূর্বক জবর দখল করা সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকাই এদের প্রধান কাজ।এছাড়াও এলাকার শালিশ বিচার আইন কানুনের তোয়াক্কা করেনা এরা।ঘটনার দিন পরিকল্পিত ভাবে বিবাদীগন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ,লোহার রড, লাঠি, বাশ, নিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ৭-৮ জন অত পেতে ছিলো ঘটনার স্থানে উপস্থিত হলে আতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

    এসময় লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটাতে থাকে এবং ছুরি দিয়ে গলায় জখম করে আঘাতে আহতদের ঠোট, গলা, পিঠ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।এছাড়াও মোসাঃ মানুজা বেগম ও বেবি নামের দুই নারীকে কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির লজ্জার ঘটনা ঘটায় এবং আহত ব্যাক্তিদের দুজনের গলায় থাকা দুটি স্বর্নের চেইন বিবাদীরা জোর পুর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় , যাহার মুল্য আনুমানিক ১ (লক্ষ) ৩০ (হাজার) টাকা। এসনয় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সকলের সামনে হত্যার হুমকি দিয়ে বীরদর্পে স্থানত্যাগ করে বিবাদীরা।

    পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।আহত ব্যাক্তিরা বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।এব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও এলাকার ভিন্ন মাধ্যমে একাধিকবার চেষ্টা করেও কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ভুক্তভোগীর পরিবারটি বর্তমানে আতংকে দিনকাটাচ্ছে তাই উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের জোড় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ