• Uncategorized

    সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশকে ডাকাত বলে আখ্যায়িত পর হামলা আটক-৪

      প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ১:১৫:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

    মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাত নামের ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে গিয়ে ছিল; বলল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফ। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের মাইকে ‘বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ প্রচার করে সেই পুলিশ সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। দিয়েছেন খুনের হুমকিও।

    শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১২টায় জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার করাইতলা এলাকায় এ ঘটনা। এ ঘটনায় আমিনুল, মারুফ খান, সামসুজ্জামান ও ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটিতে এএসআই মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে রাষ্ট্রিয় কাজে বাধা, মারপিট করে পুলিশ সদস্যদের আহত ও হুমকী প্রদানের অভিযোগে ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৫০৬/৩৪ ধারায় মামলা করেছেন।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার সেলিম আলীর ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (৫৫), একই এলাকার হুমায়ন কবির খানের ছেলে মারুফ খান (১৮), জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে রবিন (৩৫), গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার মো. সোলাইমানের ছেলে সামসুজ্জামান (২৮), জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলাম মো. ওয়াসিম (২৯), ফকির মনির (৪০), মতিন(৪৫), আক্কাস(৪২), আশিক(২৫), বিল্লাল (৪০), সেলিম(৪৫), আলী হোসেন ও সোহাগ। এছাড়াও অজ্ঞাত নামা ৩০-৪০ জন লোক আসামী করা হয়েছে।

    মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এএসআই মো. নুরুজ্জামান সঙ্গী অফিসার নিয়ে ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারি গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাত জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় আমিনুল ইসলামের বাড়ীতে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া রাত ১২টা ১০ মিনিটে স্থানীয় নাইটগার্ড নাসির(৪০)কে সঙ্গে নিয়ে আমিনুল ইসলামের বাড়ীতে যাই। এ সময় আমিনুল ইসলামকে ডাক দিলে সে ঘরের দরজা না খুলিয়া ভিতর হইতে পুলিশকে উদেশ্যে করিয়া বিভিন্ন ধরনের অশালীন ও উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বার্তা বলতে থাকে।

    এ সময় বাড়ীর মালিক স্থানীয় মসজিদের ফোন করিয়া বলে, ‘বাড়ীতে ডাকাত পড়েছে’। এরপর মাইকেও সেই ঘোষণা দেন। এরপর রাষ্ট্রিয় কাজে বাধাদেন, ১, ২, ৩ ও ৪ নং আসামী মারপিট করে পুলিশ সদস্যদের আহত ও হুমকী প্রদান করেন। বলেন, কোন পুলিশ বাড়ীতে কোন বিষয়ে নিয়ে আসলে খুন করে ফেলবো’।

    এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাটির নেপথ্যে রয়েছে মামলার ৩ নং আসামী রবিন। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও নিজেকে একজন ডিআইজির ভাইয়ের লোক পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি প্রয়াত এক এমপির প্রভাবশালী পুত্রের পরিচয় দিয়ে বিশাল বাহীনি গড়ে তুলেছেন।

    সেই প্রভাবখাটিয়ে এলাকাটিয়ে জালকুড়ি কড়াইতলা ও আশপাশের এলাকার জমির বেচাকেনা, সরকারি খাল আটকে জলাবন্ধতা সৃষ্টি করে মাছের চাষ, জুট ব্যবসা, ইট-বালির ব্যবসা ও ড্রেজার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছেন। মসজিদের মাইকে পুলিশকে ডাকাত বলে অপপ্রচার আর মারধরের ঘটনায়ও মূল নায়ক ছিলেন।

    এ ব্যাপারে ব্যস্ততা দেখিয়ে কোন কিছু বলতে চায়নি মামলার বাদী এএসআই মো. নুরুজ্জামান। তবে, সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, রাত ১২টার দিকে ওয়ারেন্ট আসামী ধরতে জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় গেলে সেখানে পোশাকধারী ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ