• বরিশাল বিভাগ

    পাওনা টাকা চাইতে মাছ বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলা হয়রানি

      প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:২৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    পাওনা টাকা চাইতে মাছ বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলা হয়রানি

    মো আবুবকর মিল্টন-পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালীর দুমকিতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাঞ্ছিতের শিকার মাছ বিক্রেতাকে উল্টো মিথ্যে মামলায় হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মাছ বিক্রেতার অভিযোগটি আমলে না নিয়ে স্কুল শিক্ষকের অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪৪নং উত্তর পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের জনৈক আ: গণি খার ছেলে পেশাদার ইলিশ জেলে ও মাছ বিক্রেতা আবুল খা (৪৫) প্রতিবেশী ৪৪নং উত্তর পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাইদুল মাষ্টারের কাছে পূর্বের বকেয়া মাছের টাকা পায়। ঘটনার দিন ও সময়ে ওই বকেয়া পাওনা টাকা আনার জন্য স্কুল কম্পাউন্ডে গেলে পূর্বশত্রæতার জেরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল চাঁদ হাওলাদার তার (আবুল খা) সাথে কেন স্কুল কম্পাউন্ডে ঢুকেছে এপ্রশ্নে তর্কে জড়ায় ও এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক লাল চাঁদ হাওলাদার ও তার সহদর মেঘনাথ হাওলাদার মিলে আবুলকে শারীরিকভাবে মারধরসহ লাঞ্চিত করে।

    এঘটনায় বিচারের দাবিতে লাঞ্ছিতের শিকার মাছ বিক্রেতা আবুল খা অভিযুক্ত লাল চাদ মাষ্টার ও তার সহদর মেঘনাথ হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অপর দিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে ওইদিনই রাতেই সংখ্যালঘু স্কুল শিক্ষক লাল চাঁদ মাষ্টারকে মারধরের অভিযোগ আবুল খার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। মাছ বিক্রেতা আবুল খা অভিযোগ করে জানান, এয়াজনামা শর্তের জমিজমার পূর্ব শত্রæতার জেরে স্কুল শিক্ষক লালচাঁদ তাকে অকথ্য গালাগাল ও মারধর করেছে। এখন সংখ্যালঘুর ধূয়াতুলে আমাদের এয়াজ শর্তের দলিল ফেরত না দেয়ার পায়তারা করছে এবং উল্লো মারধরের অভিযোগ এনে শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করছে।

    স্কুল শিক্ষক লাল চাদ হাওলাদারের মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। উভয় অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই শুভ বাড়ৈ জানান দু’টি অভিযোগই তদান্তধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ