• সারাদেশ

    নিবন্ধন পাচ্ছে না গনঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি সহ ১০ দল

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ১০:৩৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ল নানাভাবে আলোচিত ও সমালোচিত গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৯টি দল ছিটকে পড়ছে নিবন্ধনের তালিকা থেকে।
    মাত্র দুটি দল এবার ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে। দল দুটি হলো— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নতুন দুটি দলের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৭ জুলাই) পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি।

    আজ রোববার ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি। কমিশনসভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
    এদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে দলের নিবন্ধন নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

    নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে গণঅধিকার পরিষদের ছিটকে পড়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নিব এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে দুটি দল টিকেছে পরবর্তী ধাপের বাছাইয়ের জন্য। অর্থাৎ প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দলই বাদ পড়েছে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে।

    জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল ছিল। সেগুলো হচ্ছে— আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

    ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কিনা তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ