• বরিশাল বিভাগ

    আমতলীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাইকে হাজতে পাঠিয়ে বসতঘড় ভাংচুর ও লুট।

      প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২২ , ১২:০৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গেড়াখালী ৪ নং ওয়ার্ড গ্রামের মো: আয়জদ্দিন এর ছেলে ফোরকান মোল্ল্যার বসতঘড়ে গত ৬ই এপ্রিল রাত আনুমানিক ১২টার দিকে এ হামলা ও ভাংচুর চালায় তারই ছোট ভাই হাবিব মোল্ল্যাসহ ১০/১২জনের একটি সন্ত্রাসী দল ।
    এ সময় ফোরকানের বসতঘড়ে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়, ঘটনারদিন অর্থাত ৬ই এপ্রিল রাত ১২টার দিকে হাবিব মোল্ল্যার নেতৃত্বে ঐসন্ত্রাসী দলটি হামলা এবং ভাংচুর করা এবংস্বার্ণালংকার লুটপাট করা হয় । এতে প্রায় প্রা্য় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন এবং ঘরের মহিলাদেরকে মারধর করে ।
    এ বিষয় সরেজমিনে গিয়ে জানা জায় হাবিব মোল্ল্যা ও ফোরকান মোল্ল্যার সাথে দীর্ঘদিন যাবত পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো । এদিকে হাবিবের শালা জনৈক ব্যাক্তি র্যািবে চাকুরি করার প্রভাব বিস্তার করে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসী হাবিব মোল্ল্যা এবং তার বাহিনী ।

    হাবিবের পরিবারের কারনে এলাকার সাধরণ মানুষ আতংকিত রয়েছে, এদিকে মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ফোরকান মোল্ল্যার স্ত্রী । এদিকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১২ টার সময় হাবিব মোল্ল্যা এবং তার বাহিণী কতৃক ফোরকান মোল্ল্যার পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং ঘড়ের আসবাবপত্র সহ নগদ টাকা স্বর্ন অলংকার লুট করে নিয়ে যায়।এব্যপারে ফোরকান মোল্লার ছেলে জানান, ৪ ঠা এপ্রিল রাতে বহিরাগত ৮/১০ সন্ত্রাসীসহ আমার ছোট চাচা হাবিবমোল্লা বসতঘড়ে হামলা চালায় এসময় দেশীয় অস্ত্র দ্বারা অর্তকিত কোপ ছাড়লে আমার বাম হাতে কোপ লাগে বিরোধীদল এলাকার ত্রাস করে বেড়ায় এদের থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছি।

    উক্ত ঘটনার ব্যপারে ভুক্তভোগী ফোরকান মোল্লার ২য় স্ত্রী মোসা,হেপী বেগম,কান্নাজড়িত কন্ঠে দৈনিক বরিশাল সমাচার ও দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠকে বলেন,আমার স্বামী ফোরকান মোল্লা একজন গ্রাম পুলিশ সে কোন অনৈতিক কাজ কখনোই করেনী,প্রতিপক্ষ হাবিব মোল্লা নিজের স্ত্রীকে বারি মেড়ে জখম করে আমতলী সদর হাসপাতালে ভর্তী করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আমতলী থানার ইনচার্জ গ্রামপুলিশ ফোরকান মোল্লাকে ফোন করে থানায় ডেকে কোন কিছু না জেনেই জেল হাজতে প্রেরন করেন।বিষয়টি নিয়ে বরগুনা জেলার সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসির,,, মুঠোফোনে ফোন করে।

    বিষয়টি জানতে চাইলে ওসি জানান,আমি গ্রামপুলিশ ফোরকান’কে থানায় ডাকিনী তিনি নিজেই এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায় তিনি।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এহেনও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান । এদিকে এ ঘটনার পর ঘরে তালা লাগিয়ে আত্ন গোপনে রয়েছে হাবিব মোল্লা এবং তার স্ত্রীসহ পুরো বাহিনী।উক্ত ঘটনার ব্যপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসারইনচার্জকে,একাধিক বার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ