• আইন ও আদালত

    সিরাজগঞ্জে পুকুর উন্নয়নের নামে পুকুর চুরিঃ কাজ না করেই বিল উত্তোলন

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ৫:৫৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে কাজ শুরুর আগেই প্রকল্প উন্নয়নের অগ্রিম বিল দেওয়া হয়েছে। এদিকে কাজ না করে বিল দেওয়ার ঘটনায় এলজিইডির অস্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কাজ না করে বিল উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনায় ওই দুই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ এলজিইডির বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন জনস্বার্থে কামারখন্দবাসী।

    তথ্যসূত্রের আলোকে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সারাদেশে পুকুর,খাল উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) (ওচঈচ) কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ পুকুর উন্নয়ন ও বলরামপুর আদর্শগ্রাম পরিষদ পুকুর উন্নয়ন কাজের চুক্তিমূল্য ধরা হয় ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত ১০ই জুন ২০২৩ তারিখে মেসার্স রুবী এন্ড সন্স কাজ শুরু কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কাজ না করেই গত ২১জুন ২০২৩ইং তারিখে প্রকল্প উন্নয়নের নামে প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিল অফিস থেকে তুলে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ও বলরামপুর আদর্শগ্রাম পুকুর উন্নয়ন এই দুটি প্রকল্পে সংস্কার কাজের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুকুরের জলের মধ্যে ও চারপাশে আগাছা ভর্তি ঘাসের চর হয়ে গিয়েছে৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুর সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা আসে শুধু শুনি পরে জানতে পারি কাজ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছে৷ আদর্শগ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আব্দুল আলিম জানান, অফিস থেকে লোকজন এসে মেপে যায় এবং পরে ২/১জন মহিলা এনে ২/৩ দিন টুপরি দিয়ে মাটি কাটে আর আমাদের দেখায় কাজ শুরু করছে কিন্তু পরে আর আসে না।

    প্রতিবছরে এভাবে চলছে। স্থানীয়রা আরো বলেন, ‘সঠিক ভাবে তদন্ত হলে এই সরকারি পুকুরের সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব হওয়ার একাধিক অনিয়ম প্রকাশ্যে আসবে৷
    এ কাজের প্রকল্প কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান,এ কাজে বিল দেওয়া হয়েছে। আমি এতটুকুই জানি। কাজ না করে টাকা পাওয়ার বিষয়ে মেসার্স রুবী এন্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী ইসরাফিল বলেন, আমি কাজ পেয়েছি কিন্তু কাজ না করে কোন বিল নেওয়া হয়নি।

    কাজ শুরু না করার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়া বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে অফিসে এসে কথা বলেন কিন্তু আমি ফোনে কোন কথা বলবোনা। সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান,এ প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুবী এন্ড সন্সের পক্ষে ইসরাফিলকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে টাকার পরিমান কতো তা ফাইল দেখে বলতে হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ