• আমার দেশ

    শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব-আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

      প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ৮:০৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) ও মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।রআজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, তীব্র শৈত্য প্রবাহে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সামর্থবান সবাইকে অসহায় শীতার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের নিম্ন আয় ও ফুটপাতের মানুষসহ সারাদেশে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে মানুষ দিশেহারা। বিশেষ করে গরীব, অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষ শীতে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তারা বলেন, সরকার শীতার্ত মানুষের জন্য কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা। বনী আদম আশরাফুল মাখলুকাত আজ প্রচন্ড শীতের মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

    এমতাবস্থায় শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল বিত্তবানদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অতীতেও অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। অথচ ইসলামের প্রথম যুগে অর্থাৎ হযরত ওমর (রা.) বলেছিলেন “আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় যদি একটি বনের কুকুরও না খেয়ে মারা যায় তাহলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।” এমন কথার প্রেক্ষিতে আমরা কি মনে করতে পারি যে, ইসলামের দায়িত্বশীলগণ দেশের জন্য, দেশের মানুষ তো বটেই পশু-পাখির সেবায় ও তারা সর্বদা ব্যস্ত থাকতেন।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, এখনও যদি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকতো তাহলে আশরাফুল মাখলুকাত এভাবে খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড ঠান্ডা, বৃষ্টি ঝড়-তুফানে এভাবে থাকতো না। তারা মানবতার সার্বিক মুক্তির জন্য ইসলামের বিকল্প নেই বলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সকলকে ফিরে আসার আহবান জানান। এই প্রচন্ড শীতে মধ্যেওে বহু মানুষ স্টেশনে, রাস্তাঘাটে খোলা আকাশের নীচে রাত্রি যাপন করছে। শীতবস্ত্র নিয়ে এসব শীতার্ত মানুষের সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ