• সারাদেশ

    রাঙ্গাবালীতে সরকারি খাল কেটে উন্মুক্ত করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

      প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৫৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

    গত মঙ্গলবার ৭ আগষ্ট সকাল এগার টায় সময় উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরমোল্লা গ্রামে দারচিরা নদী সংলগ্ন ঢোষের খাল নামক খালটি কেটে উম্মুক্ত করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে যানা গেছে গতকাল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিউজ প্রকাশের জেরে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেক মুহিত এর নির্দেশে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন তার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাফর মৃধাসহ স্থানীয় পানি বন্দি জনগনগনকে সাথে নিয়ে দখল কৃত খাল উন্মুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।

    যানা গেছে দীর্ঘ দীন যাবৎ খালটি দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল স্থানীয় একটি মহল এতে বর্ষা আসলেই ফসলি জমিথেকে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হত ফলে কৃষি জমি চাঁষাবাদ ব্যহত হচ্ছিল। পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হত ফসলি জমি ও পুকুরের মাছ। এমন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে খালটি কেটে উম্মুক্ত করা হয়। স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন খালটি দখল থাকায় হয়রানীর শিকার হয়েছেন স্থানীয় জেলে এবং কৃষকরা। অনেক দিন পর খালটি দখল মুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে এতে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন অনেকে।

    স্থানীয় কৃষক বেল্লাল মোল্লা বলেন, টানা বৃষ্টিতে এলাকা তলিয়ে গেছে আমাদের বিজ ঘেরের মাছ চলে গেছে আমরা এলাকাবাসী মিলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর নিকট আবেদন করলে তিনি আমাদের সাথে নিয়ে আজকে বাধ কেটে দেয়, এতে আমরা খুশি। একই এলাকার কৃষক জুরান গাজী জানান আমাদের দাবী ছিল যাতে বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা হয় আমাদের দাবীর প্রক্ষিতে পরিষদের মেম্বার, চৌকিদার মিলে আমাদের সাথে নিয়ে বাধ কেটে দেয় এতে আমরা অনেক বড় উপকৃত হয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর মৃধা বলেন ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক জনগণ এবং গ্রাম পুলিশ সাথে নিয়ে খালের বাধ কেটে দেওয়া হয়।

    ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বলেন দীর্ঘদিন দখলে থাকা খালটি আজকে উম্মুক্ত বা দখল মুক্ত করা হল এখন থেকে এই এলাকার কৃষকদের জমি আবাদ করতে আর কোন সমস্যা হবে না খালটি উম্মুক্ত হওয়ার ফলে হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে এরকম অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ