• বরিশাল বিভাগ

    নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে এমপি শাহজাদা’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।

      প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০২২ , ১১:৪৪:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালীঃ

    পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ২নং আলীপুরা ইউনিয়নের কাজী (নিকাহ্ রেজিস্ট্রার) নিয়োগের আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এমপি ও উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে। গত রবিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদে এই নিয়োগ পরীক্ষার ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে অবৈধ ভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া করায় বিবাহ ও নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার পদে আবেদন করেন ১৫ জন। যার আবেদকারীর মধ্যে মাত্র ৫ জন আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। আর এই ৫ জনের মধ্যে চার জন অপন ভাই এবং একজন তাদের মেয়ে জামাতা।

    সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে আরো জানাযায়, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ এর ৬(১) ধারার বিধান মোতাবেক উল্লেখ আছে যে , নতুন কোন অধিক্ষেত্র সৃষ্টি হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিষ্ট্রার বা সাব রেজিষ্ট্রারকে বিষয়টি অবহিত করবে। উপবিধি (২)১ এ বলা হয়েছে নতুন অধিক্ষেত্র সৃষ্টি হইবার তথ্য অবহিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিষ্ট্রার বা সাব রেজিষ্ট্রার নিকাহ রেজিষ্ট্রার লাইসেন্স প্রদানের উদ্দেশ্যে পনের দিন সময় প্রদান করিয়া আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করার বিধান রয়েছে।

    কিন্তিু উল্লেখিত কোন বিধি অনুসরন না করিয়া বিধি বর্হিভূত ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। কাজী (নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার) পদে আবেদনকারী মোঃ মাহতাব হোসেন বলেন, এটা ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি কিন্তু এর পর সাব রেজিষ্ট্রার ফজলে রাব্বি, কার্তিক ঘোষ, এর পর এক মহিলা এবং বর্তমান সাব রেজিষ্ট্রার মোবারক হোসেন এসেছেন। বিগত সাব রেজিষ্ট্রাররা কেউ নিয়োগ দিতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে অবৈধ ভাবে ২০১৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এখন সাইফুল ইসলাম নামে একজনের কাছ থেকে এমপির লোক নাইম বশির সাত লাখ টাকা নিয়েছে।

    আর সাইফুলের আপন চার ভাই এবং তাদের ভাইজি জামাই ছাড়া আজ কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলাও করেছি, আদালত তাদের শোকজ নোটিশ দিয়েছে কিন্তু তারা উত্তর দিচ্ছে না। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই, এবং এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।
    এদিকে পটুয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম শাহজাদার ঘনিষ্ট জন হিসেবে পরিচিত জনৈক নাইম বশির বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে আমার কোন অবস্থাতেই সম্পৃক্ততা নেই। আপনার এ বিষয়ে তদন্ত করেন এবং প্রমাণ পেলে নিউজ করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন করার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উক্ত অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে এই নিয়োগ কমিটির পাঁচজন সদস্য সকলেই আমরা উপস্থিত রয়েছি।উক্ত কমিটির সদস্য সচিব সাব রেজিষ্ট্রার মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছেন এবং তাদের অনুমতি নিয়েই ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে আইনের কোন ব্যত্বয় ঘটলে সেটি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানান।

    উক্ত ঘটনার ব্যপারে জানতে চাইলে দশমিনা উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার মোবারক হোসেন বলেন, যেহেতু নিয়াগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয় সে কারন বিবেচনায় এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। এখানে আইনের ব্যত্বয় ঘটার বিষয় তিনি বলেন ,এ বিষয়ে উর্দ্ধোত্বন কর্মকর্তাদের সাথে অলাপ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ