• খুলনা বিভাগ

    মেহেরপুরের গাংনীতে কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন

      প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২২ , ১:০১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

    আদালতের নির্দেশে মেহেরপুরের গাংনীতে আসাদুজ্জামান (৪২) নামের এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাহাদত হোসেনের উপস্থিতিতে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের চান্দামারী গ্রামের কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ। আসাদুজ্জামান চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মোচাইনগর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আসাদুজ্জামানের ছোট ভাই ও মামলার বাদী হাসানুজ্জামান লিটন জানান,২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদরের হাসপাতাল পাড়ার মহিবুল হকের মেয়ে মোনালিসা হক লোপার সাথে বিয়ে হয়।

    যশোর জেলায় কনকর্ড ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকুরীর সুবাদে এমএম কলেজের পার্শে ভাড়াবাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতো। একই এলাকায় শশুরবাড়িতে বসবাস করতো নরসিংদী জেলার বাখরনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে হুমায়ন কবির (৩৫)।সেখানে বসবাস করা কালিন সময়ে সাথে তার ভাবি মোনালিসা হক লোপার সাথে হুমায়ন কবিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে তার ভাই মোনালিসা হক লোপা ও হুমায়ন কবিরকে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন। প্রেমের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হলে চুয়াডাঙ্গা শহরে চলে এস বসবাস করে। সেখানে আরগন ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকুরী শুরু করে।

    চুয়াডাঙ্গায় আসার পরও তার ভাবি হুমায়ন কবিরের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। এর মধ্যে তার ভাবি মোনালিসা হক লোপা ওল্ড জেএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরী পায়। চাকুরী পাওয়ার পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বারংবার মোনালিসা হক লোপাকে নিষেধ করেও থামাতে পারেনি তার ভাই। ২০২০ সালের ২৭ মার্চ রাতে আসাদুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়েছে মর্মে বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয়। পরদিন ২৮ মার্চ গ্রামের বাড়িতে মরদেহ এনে পাশবর্তী চান্দামারী গ্রামের কবরস্থনে লাশ দাফন করা হয়।

    ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর তারিখে মোনালিসা হক লোপা ও হুমায়ন কবির বিয়ে করে। বিয়ের পর মোনালিসা হক লোপা ও হুমায়ন কবিরের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিরোধের কারনে মোনালিসা হক লোপা কিভাবে আসাদুজ্জামানকে হত্যা করেছে হুময়ান কবির সব তথ্য উপাত্ত আমাদের জানিয়ে দেয়। হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানার পর গত ৩রা জানুয়ারী চুয়াডাঙ্গা সদর আমলী আদালতে মোনালিসা হক লোপা ও হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তদন্ত সাইদ হোসেন জানান, আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ২৫ জানুয়ারী মামলাটি নথিভুক্ত করে।মামলা নং ২১ তাং ২৫.০১.২২ ইং। মামলা রেকর্ড হওয়ার পরদিন হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করে ৩দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে হুমায়ন কবির চুয়াডাঙ্গা জেলা হাজতে রয়েছে। পলাতক রয়েছে প্রধান আসামী মোনালিসা হক লোপা তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ