• Uncategorized

    মতলব উত্তরের জহিরাবাদে বর্ষার পানিতে   ফিশারির বাধঁ ভেঙ্গে পানিতে ভেসে গেছে মাছ 

      প্রতিনিধি ২১ জুলাই ২০২০ , ২:৫২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো.তুহিন ফয়েজ:

    মতলব উত্তরের জহিরাবাদে বর্ষার পানিতে  ফিশারির বাধঁ ভেঙ্গে  পানিতে ভেসে গেছে মাছ ৷ ভেসে যাওয়া এ মাছের মূল্য ১০ লক্ষ্য  টাকার বেশি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৭ জন মাছচাষী।

    গত ৬ জুলাই সোমবার রাতে হঠাৎ বর্ষার পানি ভেড়ে যাওয়ায় ফিশারির বাধঁভেঙ্গে পানিতে ভেসে যায় মাছ ৷

    বৃহত্তম কুমিল্লা জেলায় মংস্য উন্নয়ন প্রকল্প মতলব উত্তরে ,৯নং জহিরাবাদ ইউনিয়নের  বেরিবাঁধ সংলঙ্গ বড়পিট ফিসারির  প্রজেক্ট সভাপতি মোঃ বাচ্ছু মিয়াজী ও  সদস্য  মাহফুজুল করিম হুজুর, মামুন মিয়াজি, মোঃ বাচ্চু বেপারী   সহ অন্যান্য সদস্যরা  জানান,

    মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ  ইউনিয়নের  নেদামদী  মৌজায় প্রায়- ৩ একর একটি পুকুরে মৎস্য খামার স্থাপন করেন তারা । এতে তারা  রুই ,মৃগেল, কাতলা,কার্প, ব্রিগেড  মাছের পোনা অবমুক্ত করে মাছ চাষ  শুরু করেন ৷

    ২ কেজি ওজনের বড় মাছ সহ প্রায় ১০  লাখ  টাকার উপরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এই ফিশারিতে ছিল । আগামী নভেম্বর- ডিসেম্বর  মাসে  ফিশারির মাছ বিক্রি করার কথা ছিল। তাতে অনেক টাকা লাভ হত তাদের । কিন্তু সম্প্রতি  হঠাৎ বর্ষার পানি ভেড়ে যাওয়ায় ফিশারির বাধঁভেঙ্গে পানি ফিশারিতে ঢুকে পড়ে। এতে করে সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

    দিশেহারা খামারের মালিকরা বলেন, স্বপ্ন নিয়েই খামার করেছিলাম। খামারে প্রায় ১০ লাখ টাকার উপরে বিনিয়োগ করেছিলাম। আশা ছিল মাছ বিক্রি হলে অনেক  টাকা আয় হবে। কিন্তু বর্ষার পানি হঠাৎ ভেড়ে যাওয়ায়  আমাদের ফিশারির সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে ৷ আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেব তা ভেবে পাচ্ছি না।

    তারা আরও জানান,২০১৯- ২০২০ অর্থ বছরে ১৭ লক্ষ টাকায় উক্ত ফিশারীর খনন কাজ ও ফিশারির বাধঁ নির্মাণ করা  হয় ৷ বাধেঁর উচ্চতা কম এবং  বাধঁ নির্মানের  কাজের মান ভালো না হওয়ায় বর্ষার পানির চাপে উক্ত ফিশারির বাধঁ ভেঙ্গে যায়।

    এবং বাধঁটি প্রায় ২/ ৩ ফিট পানির নিছে তলিয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকে পানির সাথে  মাছ ভেসে ফিশারি থেকে বাইর হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তের সিকার হয়েছি আমরা ফিসারি  মালিকগন ৷

    ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিরা  তাদের ক্ষতিপুষিয়ে অবকাঠামো মেরামত করে মাছ চাষে ফিরতে যে পুঁজির প্রয়োজন তা সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এব্যপারে  উপজেলা মৎস অধিদপ্তর সহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের   হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা ৷

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ