• ধর্ম

    পবিত্র রমযানকে স্বাগত জানানোর ভুল পদ্ধতি এবং রোযা নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-মুফতী আঃ কাদের কারিমী

      প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২২ , ৫:৪৮:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:

    মুমিন মুসলমানরা রমজানকে স্বাগত জানায়, এই চিন্তা ভাবনা করে যে, রমজানে কি ভাবে একটু বেশি ইবাদত করা যায়। সেই প্ল্যান করে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করে। কিন্তু আমাদের মধ্যে আবার বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ আছে। যারা শাবানের শেষ তারিখে বড় বড় ব্যানারে খোশ আমদেদ মাহে রমাযান বা আহলান সাহলান মাহে রমাযান, লিখে একটা মিছিল বের করে কিছু শ্লোগান দেন। আর মনে তৃপ্তি বোধ করেন যে,বিরাট সওয়াবের কাজ করলাম। এভাবে তারা রমযান কে স্বাগত জানায়। আর ব্যবসায়ী তারা রমযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে প্রায় ছয় মাস আগ থেকে। তারা ব্যস্ত থাকে মজুদদারীত। তাদের নিকট রমযান হলো অধিক মুনাফা অর্জনের মাস।আর ভোক্তা শ্রেণি,তারা রমযানকে স্বাগত জানায় মজার মজার খাবার আর রকমারী ইফতারীর আয়োজন আর দামী দামী পোষাক খরিদ করার মাধ্যমে। দৃষ্টিভঙ্গির এ ভিন্নতার কারণে রমযান কারও জন্য হয় ইবাদতের মাস কারও জন্য হয় উৎসবের মাস।

    অতচ রমযান কোন উৎসবের মাস নয়,বরং রোযা রাখার মাধ্যমে রুহকে কলুষমুক্ত করার মাস। রমযান সব্দটি সে দিকেই ইঙ্গিত করে। কেননা, রমযান আরবি শব্দ রময ধাতু থেকে এর উৎপত্তি। অর্থ দহন করা,ঝলসে দেওয়া। রমযানে দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখার মাধ্যমে সাধকের সকল পাপ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রুহের কালি দুর হয়। তাই এ মাসটির নাম রমযান রাখা হয়েছে। হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্নিত হাদীসের ভাষ্য এটাই। তিনি রাসুল সাঃ থেকে বর্ননা করেন; রমযান নাম রাখার কারণ হলো তা গুনাহ কে জালিয়ে দেয়।
    আার সাওম শব্দটিও আরবি। এর অর্থ বিরত থাকা।রমযান -সাওম-সিয়াম শব্দগুলি কুরআন ব্যবহারিত হয়েছে।

    কিন্তু আমরা যেটা বলি রোযা – এটা কোরআনে ও নেই হাদীসেও নাই,। রোযা শব্দটি মুলত ফারসি।এটা আরবি সাওম শব্দের প্রতিশব্দ রুপেই উর্দু ও বাংলা ভাষায় ব্যবহারিত হয়।এর অর্থ-ও বিরত থাকা। আর শরীয়তের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোযা বলা হয়। রোযার বিধান আরোপ করেই আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেনঃহে ইমানদারগন তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেরুপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পুর্ববর্তী লোকদের উপর যেন তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বন করতে পার।(সুরা বাকারা ১৮৩) উক্ত আয়াতে মুসলমান ইমানদারদের উপর রোযা ফরজ হওয়ার বিষয়টি একটি বিশেষ নযীর উল্লেখ সহকারে দেয়া হয়েছে। তাহলে এ রোযা সাধনা তোমাদের জন্য নতুন কিছু নয়, বরং পুর্ববর্তী সকল নবী রাসুল ও তাদের উম্মতেরা এ রমজানের বিধান পালন করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ