• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে তক্ষক নিয়ে  প্রতারণা ফাদ, র‍্যাব-৮ এর হাতে হাতেনাতে আটক।   

      প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৫৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    র‍্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ১২/০৯/২০২০ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন আমখোলা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বন্যপ্রাণী ‘‘তক্ষক’’ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তক্ষক পাচারের অভিযানে মোঃ রাসেল (৪০), পিতা-মৃত আমজাদ হোসেন, সাং-তুলাতুলি, ০৫নং ওয়ার্ড, ১০নং বালিয়াতলি ইউনিয়ান, থানা- কলাপাড়া, জেলা-পটুয়াখালীকে আটক করা হয়।

    উল্লেখ্য, গুজব প্রচলিত আছে ক্যান্সারের ঔষধ তৈরীতে তক্ষক ব্যবহার হয়; তক্ষক ঘরে রাখলে সহসাই ধনী হওয়া যায়; মাথার ম্যাগনেট দাম কোটি টাকা; প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা; এমন গুজবের ওপর ভর করে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিচারে তক্ষক ধরছে। এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তক্ষক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে। এর পর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের হাতে কথিত ‘মহামূল্যবান’ তক্ষক বা এর কঙ্কাল গছিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    একটি ১০-১২ ইঞ্চি তক্ষকের দাম ধরা হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকেই। আটককৃত ‘তক্ষক’ পাচারকারী মোঃ রাসেল (৪০) সংঘবদ্ধ ‘তক্ষক’ পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছে। আসামীকে উদ্ধারকৃত তক্ষকসহ পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র‍্যাব বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর (খ) ধায়ায় একটি মামলা ধায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এ বিষয় র‍্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান, র‍্যাবের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইফতেখারুজ্জামান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ