• শিক্ষা

    তানোরের চাঁদপুর মাদরাসায় কম্পিউটার ক্লাস হয় না

      প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৩৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউপির চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার
    কম্পিউটার শিক্ষক মশিউর রহমান নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক মশিউর রহমান কম্পিউটার তেমন চালাতে না পারায় তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও মাদরাসায় কম্পিউটার নাই, ফলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হয় না।এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

    এদিকে অদক্ষ শিক্ষক মশিউর রহমানকে অপসারণ করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসি ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা বলছে, মশিউর রহমান কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারলেও সভাপতি ও সুপারের যোগসাজশে বসে বসে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে যেটা নীতিমালা পরিপন্থী। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নীতিমালায় বলা আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষককে ওয়েবসাইট তৈরীসহ (অনলাইন)-এর যাবতীয় কাজ করতে হবে।

    এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে সরকার অনুমোদিত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার}, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার বগুড়া}, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি মেহেরপুর, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর {মশরপুর নওগাঁ} এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জনকারীদের এমপিওভুক্ত করা যাবে বলে জানান ডিআইএ কর্মকর্তারা। অথচ মশিউর রহমান তেমন কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারায় মাদরাসার সিংহভাগ কাজ বাইরের কম্পিউটার দোকান থেকে করতে হয়।

    এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের যেমন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরের মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম (১৬), সায়েম আলী (১৫) ও পারভীন আক্তার (১৫) বলেন, তাদের মাদরাসায় কখনই হাতে-কলমে কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয় না। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সুপার মাওঃ বেলাল হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা সমাজের ভাল চাই না তারা এসব অপপ্রচার করছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে দুজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে সত্য,তবে বিষয়টি দেখভাল করেছেন সভাপতি সাহেব।

    এবিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, কম্পিউটারের দু একটা জটিল কাজ বাইরে থেকে করা হয সত্য, তবে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এবিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আগে কি হয়েছে বলতে পারবেন না,তবে তার সময়ে কোনো অনিযম বা দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, নিয়োগ দেয়া হয়েছে নিযম মেনে বাণিজ্যর অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ