• আইন ও আদালত

    গোপনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক-সভাপতি

      প্রতিনিধি ২৬ মার্চ ২০২৪ , ৯:৪৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

    নীলফামার সদর উপজেলার কচুয়া চৌরঙ্গী সেবা স্কুল এন্ড কলেজের দুটি গাছ গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুলতান আলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের বড় দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বর্তমানে লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার চাচাতো ভাই দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সভাপতি হওয়ায় সকল কাজে প্রভাব কাটিয়ে নিজেই করেন সকল কার্যক্রম। নিজেই ব্যবসায়ী ডেকে স্কুলের গাছ দুটি বিক্রি করেন। স্কুলের মাঠের ভিতর বাকী গাছ গুলো বিক্রির পায়তারা করছে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে নীলফামারী উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া চৌরঙ্গী বাজারে কচুয়া চৌরঙ্গী সেবা স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়ের ভেতর চারপাশে ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিদ্যালয় বন্ধ থাকায়। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের বড় দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ স্থানীয় পাইকার মিলন চন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। গাছগুলো একই গ্রামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ১৩ হাজার টাকায় কিনে নেন। এক সপ্তাহ আগে গাছগুলো কাটা শুরু করেন ব্যবসায়ী । এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    খবর পেয়ে সরেজমিন দেখা যায়, গাছগুলোর স্থানীয় স’মিলে কেটে তা কাট হিসেবে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ী। গাছের দুটি গোড়া স্কুলের মাঠে পরে রয়েছে। কিছু অংশ বিদ্যালয়ের পাশে স’মিলে ফেলে রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিদ্যালয়ের পুরোনো দুটি গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করা হয়েছে। গাছ ব্যবসায়ী মিলন চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান স্কুলের গাছগুলো বিক্রি করতে চাইলে আমি ক্রয় করে অন্যত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

    বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুলতান আলম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার কাছে গাছ বিক্রির বিষয়ে বলেছিলেন। এরপর আর কিছু জানিনা। গাছ বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষক নিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন। নীলফামারী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে নীলফামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ