• বরিশাল বিভাগ

    আলহাজ্ব মাওলানা খলিলুর রহমান এর ইসলামী জীবনের করুন ইতিহাস

      প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:২৯:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    বরিশালের হিজলা উপজেলার ৪ নং বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড এরস কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমান, পিতা মরহুম মৌলভী আব্দুল হামিদ সিকদার। মাওলানা খলিলুর রহমান তার শিক্ষা জীবন থেকেই একটু ব্যতিক্রম ছিলেন, সে তার বাবা মায়ের আদর্শে আদর্শিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাই সে তার কিশোর ও যৌবন বয়স এবং তার কর্ম জীবনে পরিপূর্ণ ইসলামের পথে অর্পণ করেছেন।

    উনি তার মাদ্রাসার শিক্ষা জীবন শেষ করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন। উনি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, সে তার নিজের পরিবারের দিকে না তাকিয়ে সে তার প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে যা বেতন পেতেন, তা দিয়ে হেফজ মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন দিয়ে বাচ্চাদেরকে হেফজ শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন,

    উনি তার কর্মজীবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বদলি হয়েছেন, আর উনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই একটি করে মসজিদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, এবং সেই মসজিদে বিনা টাকায় ইমামতি করে মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। এবং সে তার শেষ অবলম্বন পেনশনের টাকা গুলো দিয়ে তার নিজ বাড়িতে তার বাবার হাতে গড়া মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ ভবন তৈরীর কাজ শুরু করেন।

    তার পেনশনের টাকা ফুরিয়ে গেলে সে তার দুইটা দুধের গরু বিক্রি করে মসজিদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান, তাতেও কাজ শেষ না হওয়ায় তার নিজের থাকার ঘর বিক্রি করে দেন।
    তারপরও মসজিদের কাজ শেষ না হওয়ায় সে তার নিজের হাতে গড়া স্নেহের ছাত্র ও তার কিছু দেশ-বিদেশী ভিআইপি বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে মসজিদ ভবনের কাজ কমপ্লিট করেন।

    এবং সে তার শেষ বয়স তার বাবার মসজিদে বিনা টাকায় ইমামতি করে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছে ধর্মীয় শিক্ষার জ্ঞান ছড়াতে থাকেন। অবশেষে উনি তার বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ হয়ে তার নিজ বাড়িতে বাবা এবং মায়ের কবরের পাশে ঘুমানোর স্বপ্ন দেখছেন। আপনারা সকলে এই মহান মানুষটার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন এই অসাধারণ মানুষটাকে সুস্থতা ও হায়াতে তাইয়েবা দান করেন, এবং তার মৃত্যুর পরে আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ