• বরিশাল বিভাগ

    মাদক মামলার আসামি জামিনে বের হয়ে সাক্ষীর হাত-পা ভাঙলো

      প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:০২:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় মাদক কারবারী জেল থেকে বের হয়েই সবুজ হাওলাদার(২৭) নামের এক যুবক মামলার সাক্ষীকে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছেন মাদক মামলার আসামিরা।

    ঘটনা সুত্রে জানা যায়, এসময় ইট দিয়ে সবুজ হাওলাদারের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সবুজের হাতে-পায়ের পাঁচটি স্থানে হাড় ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার মাথায় গুরুত্বর জখমের চিহ্ন রয়েছে।
    গত( ৬ অক্টোবর) শুক্রবার উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের সূর্যমনি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃধার বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, সবুজ হাং একই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে। সে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক।

    সুজনের বাবা আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সুজন। পরে সকাল ১০ টার দিকে যাত্রী নিয়ে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় গেলে মাদক ব্যবসায়ী ডালিম, সোহেল ও জাহিদসহ ৭/৮ জন মিলে সুজনকে মৃধার বাজার এলাকায় নিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয় এবং ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। এছাড়াও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে বীর দর্পে চলে যায়।

    স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তিনি এসময় আরও বলেন, তিনি ১ বছর আগে ডালিম ও সোহেলকে মাদকসহ (গাঁজা) নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন বাউফল থানা পুলিশ। পরে পুলিশ ওই মামলায় সুজনকে সাক্ষী করেছেন। আদালতে সাক্ষী দেয়ার আগেই সুজনের হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। মাদক মামলা হওয়ার পরে আমাদেরকে ভিটে বাড়ি ছাড়া করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এই তিন বছর পর্যন্ত আমরা কেউ বসত বাড়িতে যেতে পারছি না বলে জানান।

    এ ব্যপারে সুজনের ভাই রিয়াজ হোসেন দৈনিক বরিশাল সমাচারকে জানান, আমার ভাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসকরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বরিশাল থেকে ঢাকায় রেফার করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন আমরা মাদক কারবারিদের ভয়ে বসত ভিটায় থাকতে পারিনা প্রশাসনের কাছে আমরা প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

    উক্ত ঘটনার বয়পারে সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, সুজনের হাত-পা সব গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে । সুজন বাঁচলেও কোনদিন সম্পূূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ডালিম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এতে আমার ইউনিয়নের যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। বিষয়টি আমি থানায় জানালে পুলিশ ডালিমকে অনেকবার মাদকসহ গ্রেফতার করেছে। তবে জামিনে বের হয়ে আবার মাদক বিক্রি করেই যাচ্ছে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী মাদক কারবারি ডালিমের সঙ্গে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাক্ষাত পাওয়া যায়নি। বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম ঘটনার বরাত দিয়ে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমের হাতে এবং পায়ে জখম রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ