• Uncategorized

    আমতলীর মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি গোপনে অজপাড়াগায়ে নির্মাণ প্রস্তুতির প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

      প্রতিনিধি ২৫ এপ্রিল ২০২১ , ১০:৪২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    আমতলীর মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি গোপনে অজপাড়াগায়ে নির্মাণ প্রস্তুতির প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

    বরগুনার আমতলীতে মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি গোপনে অজপাড়াগায়ে নির্মাণ করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আমতলী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার অ্যাড. একেএম শামস উদ্দিন সানু।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বহনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মাধ্যমে ‘মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এলজিইডি’র মাধ্যমে এ যাদুঘরটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় একটি ‘মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যাদুঘরটি উপজেলা শহরে নির্মাণ না করে পিরোজপুর জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আঃ ছত্তার ইঞ্জিনিয়ার গোপনে অজপাড়াগায়ে গুলিশাখালী গ্রামে নিজ বাড়ীতে নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তারপরেও মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’টি ওই ইউনিয়নের অজপাড়াগায়ে নির্মাণ করার পায়তারা চলছে।
    উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’টি আমতলী উপজেলা সদরে স্থাপন করা। তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ার আঃ সত্তার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান নহে তার বাড়ীর এ যাদুঘর নির্মাণ করা অযৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে দাবী আদায়ের জন্য আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার অ্যাড. এমএ কাদের মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান কবির, মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, মোঃ নুরুল ইসলাম মৃধা, গাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আঃ মালেক শাহানুর, আবুল হাসেম মাস্টারসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যাদুঘর লোকালয়ে থাকা অনুচিৎ। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ