প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ২:৪৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্কঃ
বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লঞ্চে অধিকাংশ যাত্রীই।নির্ঘুম রাত পার করছেন।
শনিবার সন্ধ্যার পর ফারহান-৮ ও শাহরুখ-১ নামের দুটি লঞ্চ সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে বেতাগী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
লঞ্চে থাকা বেতাগী উপজেলার একাধিক বাসিন্দা জানান, লঞ্চে হাজারো যাত্রী রয়েছে, কিন্তু কারও চোখে ঘুম নেই। সবাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। লঞ্চ ভ্রমণ আগের মতো আরামদায়ক মনে হচ্ছে না।
লঞ্চে থাকা এক যাত্রী বলেন, লঞ্চের সব যাত্রীর চোখে মুখে আতঙ্ক। সম্প্রতি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সবাইকে ভীত করে তুলেছে।
বেতাগী লঞ্চ টার্মিনালের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, লঞ্চে আগুন লাগার পর থেকে এই দুদিন যাত্রীর সংখ্যাও কমে গেছে। অনেকেই সড়ক পথে ঢাকা যাচ্ছে ও আসছে। আজ বেশ কয়েকটি লঞ্চের কেবিন খালি গেছে। অনেকে শীতের মধ্যেও ভয়ে কেবিন নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি জন্মের পর থেকে দেখিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় চারশ যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়। পরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকায় নদীর তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়। লঞ্চ থেকে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অনেকে। ৩৭টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই।