• শুভেচ্ছা বার্তা

    অতিরিক্ত আইজিপি হলেন হাবিবুর রহমান

      প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২২ , ৬:০১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেক্স:

    ঢাকা রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ হাবিবুর রহমানকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টেবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব ধঞ্জয় কুমার দাস।

    হাবিবুর রহমান গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর করেন। পরে ১৭তম বিসিএস দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন। সাহস, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং দু’বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হয়েছেন।

    পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    পুলিশের সেবার পাশাপাশি মানুষের সেবা করার জন্য গড়েছেন উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সেবামুখী প্রতিষ্ঠান। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

    ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাভারে বেদে পল্লী সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়ন থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদেপল্লীর অভিশপ্ত বাল্যবিবাহ রোধে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে দেশে-বিদেশে।

    নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন। হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ, তাদের পূনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠীর কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।

    এ ছাড়া, ২০১৮ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে একটি বই সম্পাদনা করেন ডিআইজি হাবিব। যার নাম দেন ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’। সবশেষ চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় হাবিবুর রহমানের গবেষণাগ্রন্থ ‘ঠার: বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’। বইটিতে তিনি বেদেপল্লির অজানা ভাষাকে একটি পূর্ণাঙ্গ বই হিসেবে লিখিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ