• আইন ও আদালত

    মোবাইল কোর্টের টাকা নিয়ে নয়-ছয় অভিযোগ,রাঙ্গাবালী এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে

      প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২২ , ১২:২০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোবাইল কোর্ট’র মাধ্যমে জরিমানা করা অর্থ নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহম্মদ সালেক মুহিদ এর বিরুদ্ধে। খোজ নিয়ে জানাযায় গত, কয়েকদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগে স্থানীয় কৃষকদের। তিনি
    একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করেন। কিন্তু জেলেদের যে পরিমান টাকা জরিমানা করা হয়েছে এর থেকে কম অংকের টাকা সরকারী রশিদে লেখা হয়েছে বলে জানা যায়।

    সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চরকানকুনি এলাকায় ফজলে করিম মৃধার ছেলে কবির মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে পরিবেশ সংরক্ষন আইনের ১৫(১) ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু কবির মৃধার অভিযোগ তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
    এ বিষয় কবির মৃধা বলেন, আমি কোন সময় কারো সাথে অন্যায় করিনি, কিন্ত এসিল্যান্ড আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে,সবার সামনে আমাকে তুই তোকারি করে কথা বলেছে ,অপমান করেছে। আমি অমার জমির মধ্যে খাল যাওয়ায় সেখানে মাছ চাষ করছিলাম এই আমার অপরাধ। এ জন্য আমাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    স্থানীয়রা আমার সন্মান রক্ষায় তাৎক্ষনিক ভাবে এই টাকা পরিশোধ করে আমাকে বাচিয়েছে। কিন্তু পরে দেখি সরকারী রশিদে লেখা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। আমি এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করেছি। এব্যপারে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহম্মদ সালেক মুহিদ জানান, একশ্রেনীর অসাধু ব্যক্তিরা খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এ পর্যন্ত আমি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫টি অবৈধ বাধ ভেঙ্গে দিয়েছি। তাছাড়া অভিযোগ কারিকে বিধিমালা অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বাঁধ ভেঙ্গে দেয়ার জন্য লেবার খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে।

    তবে অতিরিক্ত টাকা গুলো আমি হাতে না নিয়ে স্থানীয় পর্যায় একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের জবাব এরিয়ে যান।এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশফাকুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ বিষয়ে দুই জন ব্যক্তি মোবাইল ফোনে অভিযোগ জানিয়েছে। আমি তাদের লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। এ ছাড়া আমি এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয়কে অবহিত করেছি বলে জানান তিনি। তবে এ ব্যপারে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোহম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয় বলেন, আমি কিছুই জানিনা,তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি এমনটাই তিনি বলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ