• আইন ও আদালত

    চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণ, চালক রিমান্ডে

      প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২১ , ২:৪৭:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলন্ত বাসে ২১ বছর বয়সী এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীকে বাসে একা পেয়ে বাসের চালক নুরুল হক ও ২ সহযোগী (অনূর্ধ্ব ১৮) ধর্ষণ করেন।
    সোমবার গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামানের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক বাসচালক নুরুল হকের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    বাকি দুই আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়াতে তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো.আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ঘটনার পরপরই জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে বন্দর থানা পুলিশ। তারা হলেন- রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকার মানিক মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া হাছেন আলী মিয়ার ছেলে বাস চালক নুরুল হক (২১), ঢাকা খিলগাঁও থানার মীরেরটক এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে বাস কন্ট্রাকটর শান্ত (১৬) ও রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া এলাকার আবু হোসেন মিয়ার ছেলে বাস হেলপার বুলেট (১৪)।

    বন্দর থানার থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ওই তরুণীর বরাত দিয়ে বলেন, সায়েদাবাদ-গাউছিয়া রুটে চলাচল করা মুক্তিযোদ্ধা পরিবহনে করে রাত ১০টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া যাবার উদ্দেশ্যে বাসটিতে ওঠেন ওই তরুণী। বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোডে আসার পর বাসের সকল যাত্রীরা নেমে যায়। তখন বাসের দরজা বন্ধ করে কন্ট্রাকটর ও হেলপার তরুণীটিকে মারধর করে। এ সময় বাসে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দেন চালক নুরুল হক।

    ওসি জানান, বাসটি রূপগঞ্জের গাউসিয়ার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও ধর্ষণকারীরা বাসটি নিয়ে বন্দরের মদনপুর এলাকার দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে চলন্ত বাসেই তারা ওই তরুণীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর তরুণীকে মদনপুর এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় নামিয়ে দিলে সে ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাতেই মদনপুর এলাকার একটি গাড়ি মেরামতের দোকান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ