• Uncategorized

    হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানির এমআইও ফিরোজ হোসেনের অপকর্ম ফাঁস

      প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার-

    ফিরোজ হোসেন রাজশাহী বিভাগের পুঠিয়া উপজেলার  ধোকড়াকুল বাসুপাড়া গ্ৰামের গরিব কৃষক মোঃ আব্দুস সালাম এর মেজো পুত্র । ছোটবেলা থেকেই অনাহারে অনাদারে জীবন যাপন ।অভাবের পরিবারে বাবা উপার্জিত টাকায়  কোনভাবে দিন কাটে তাদের।

    অভাব থাকায় হয়নি ভালো স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ। লেখাপড়ার খরচ চালাতে লোকের বাড়ি ও ক্ষেতে কাজ করতে হয় ফিরোজ হোসেনকে।ভাগ্যজোরে ইন্টার পাশ করে সি গ্ৰেটে রাজশাহী কলেজে সাইন্স থেকে চান্স পায় । শুরু হয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা । বোটানি শাখায় অনার্স পড়ুয়া কালে পরিচয় হয় রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের মেয়ে নাসরিন আক্তার রুমার সাথে।

    প্রেম-ভালোবাসায় কাটতে থাকে দীর্ঘদিন নাসরিন আক্তার রুমা ফিরোজকে সার্বিক সহায়তা করতে থাকে । চাল থেকে শুরু করে নগদ অর্থ সহ হাতখরচ প্রদান করেন। তাদের মধ্যে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।নাসরিন আক্তার রুমার সহায়তা নিয়ে ফিরোজ হোসেন আর্থিক সহায়তা পেয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকা রেনাটা ঔষধ কোম্পানিতে ট্রেনিং করতে আসেন ২০১৭ইং আগস্ট মাসে।

    কোম্পানিতে ট্রেনিং করতে আসায় ঢাকাতে থাকার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাদিনীর পরিচিত ভাইকে সাহায্যের জন্য জানায় । তখন বাদিনী  ফিরোজ হোসেন,শওকত, বাপ্পী  আরো অনেককে থাকার জন্য নিজ ভাড়া বাসা ও পাশের বাসাতে স্থান করে দেয়। বাদিনীর সাথে কিছুদিন যেতে ই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    ফিরোজ হোসেন রেনাটা ফার্মাসিটিকালে চাকরি না হওয়ায় ব্যর্থ হয়ে রাজশাহী নিজ বাড়িতে ফিরে যান।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হেলথকেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এর ট্রেনিং এর জন্য আবারও ঢাকায়  আসেন বাড্ডায় বন্ধু আলমের বাসায।তখন ও নাসরিন আক্তার ও বাদিনীর  সঙ্গে সম্পর্ক চলমান রাখেন। ঢাকাতে বাদিনী  তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন ।

    দেখা সাক্ষাৎ করেন এমনকি দুজনার সম্মতিতে   বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । ফেব্রুয়ারি মাসের ট্রেনিং শেষে হেলথকেয়ার কোম্পানি থেকে ফিরোজ হোসেনকে চাঁদপুর জেলা ধীন কালীবাড়ি এলাকায় কর্মস্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয় । কর্মরত অবস্থায় থাকার সুব্যবস্থার জন্য কালি বাড়ি সংলগ্ন ছায়াবানী হতে আলিমপাড়া দেহলোভী  স্কুল রোড সিদ্দিক মহল মোঃ জিল্লুর রহমানের বাসাতে নিচ তলায় বসবাস করতে থাকেন।

    এমতাবস্থায়  ফিরোজ হোসেন বাদিনী কে স্ত্রী হিসেবে চাঁদপুরের বাসায় আনেন।চাদপুরের ভাড়া বাসায় সকলের সঙ্গে খুব ভালো সময় এবং ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়ে যায় বাদিনী ও ফিরোজের।চাঁদপুর থাকাকালীন কম বেতনে চলতে কষ্ট হওয়াতে ফিরোজ হোসেন নাসরিন আক্তার রুমার কাছে টাকার সহযোগিতা চান ।

    এভাবে একাধিক বার টাকা দিয়ে নাসরিন আক্তার রুমা দির্ঘ্য ৯বছরের সম্পর্কে বুঝতে পারেন ফিরোজ তাকে ব্যবহার করছে । সব রকম সুবিধা ভোগ করছে এমতাবস্থায় নাসরিন আক্তার রুমা ফিরোজকে না জানিয়ে গোপনে দেলোয়ার হোসেন নামে গোদাগাড়ী উপজেলার রেলগেট এলাকা সংলগ্ন একটি ছেলেকে বিয়ে করে নেন।

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে । একথা জানার পর ফিরোজ হোসেন নিরুপায় হয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে তোলা ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করেন। এমনকি বিবাহিত নতুন বর দেলোয়ারকে নোংরা ও অপমানজনক কথা বলেন। এ অবস্থার পরিপেক্ষিতে দেলোয়ার হোসেন ও নাসরিন আক্তার এর পরিবার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায়।

    ফিরোজ হোসেন ঘটনা শোনার পর নাসরিন আক্তার রুমার বাড়িতে তানোরে চলে যান।নাসরিন আক্তার রুমার বাবা আইনি প্রক্রিয়ায় হুমকি দেখালে ফিরোজ হোসেন সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে চাঁদপুরে ফিরে আসেন।বাদিনী   জানতে চাইলে মিথ্যা কথা বলে সান্ত্বনা দেয়। বাদিনী চুপ থাকেন । এভাবে দীর্ঘ এক বছর যেতে না যেতেই ফিরোজ হোসেন তার বহুরূপীতা দেখাতে শুরু করেন।বাদিনী কে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন।

    বাদিনী গর্ভবতী হওয়ার কথা জানলে আত্মহত্যার কথা বলে ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।বাদিনী  বাধ্য হয়ে তার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করেন।এবং ফিরোজ একটা প্রতারক এটা বুঝতে পারেন । এজন্য তাদের প্রতার কাবিন সম্পর্কে প্রতা চান।ফিরোজ প্রতা বলেন ওটা বিয়ে ছিল না একটা লোক দেখানো কান্ড ছিলো।

    ১৫-১১-২০১৯ইং বাদিনীকে মারধর করে চাঁদপুরে প্রতারক মহলের বাসা থেকে বের করে দেয়। বাড়িওয়ালাকে ফিরোজ হোসেন প্রতারক বাদিনী কে ডিভোর্স করেছে সে এ বাসায় আর থাকতে পারবেন না।প্রতারক  চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন ।১-১২-১৯ তারিখ অভিযোগের ভিত্তিতে ফিরোজ হোসেন কে  চাঁদপুর মডেল থানা হাজতে প্রেরণ করা হয় । এবং ৯ এর (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

    অফিসার ইনচার্জ এসআই হানিফ দরিদ্র পরিবারের কথা বিবেচনা করে বাদিনী  ক্ষমার দৃষ্টিতে তাকে ভুল শুধরানোর জন্য আরও একটি সুযোগ দেন। নিজ জিম্মায় তাকে থানা থেকে নিয়ে আসেন। ফিরোজ হোসেন চালাকি করে জানায় সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে। একাধিকবার মুঠোফোনে এসএমএস করে ক্ষমা চান।

    এমনকি পুলিশ সুপারের কর্মরত ডি বি অফিসার আব্দুর রউফকে দিয়ে (বাদিনীর) বিষয়টি টাকা প্রদানের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং এ চেষ্টা প্রক্রিয়াও ব্যর্থ হয়। ( বাদিনী) ১৭-২-২০২০ ইং সালে জজকোট বরাবর মামলা দায়ের করেন । নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল ৯ এর  (ক) ধারায় মামলাটি  পিবিআই অফিসার ইব্রাহিমের দায়িত্বে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    সরেজমিনে জানা যায় (বাদীনি) বর্ণিত ঘটনাটি সত্য এবং চাঁদপুরের বাড়িওয়ালা জিল্লুর রহমান সহ প্রতিবেশী কাজের বুয়া ও অন্য লোকেরা সত্য বলে স্বীকার করেন । চাদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন ঘটনাটি সত্য এবং( বাদিনী)ফিরোজ হোসেন কে থানা থেকে নিজ দায়িত্বে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ছেলেটি প্রতারক। পি বি আই  প্রক্রিয়া গত ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ফিরোজ হোসেন কে অপরাধ মূলক কাজে সহযোগিতা করেন,তার সহ কর্মী রুবেল আহমেদ, রুহুল আমিন,ডাঃ নেওয়াজ মুন হসপিটাল।হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জামিরুল হোসেন জানান আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি প্রমাণিত হলে আমরা তাকে কর্মস্থান হতে বহিষ্কার করবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ