• Uncategorized

    সিরাজদিখানে ফসলী জমির মাটি কাটার হিড়িক নেই কোন পদক্ষেপ

      প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:৩৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের শেখরনগর ইউনিয়নে আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক চলছে। এতে উর্বর ফসলি কৃষি জমির পরিমাণ ব্যাপক হারে কমে জাতীয় ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষক। অনেকটা জোড় জুলুম ও প্রভাব খাটিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে ফসলি জমির এসব মাটি। ফলে কমছে ফসল আর বেকার হচ্ছে কৃষক। পরিবেশও পড়ছে হুমকির মুখে। উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের কৃষ্ঞনগর ও সিঙ্গারডাক মৌজার এ পর্যন্ত প্রায় শত শত বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক ও মাহেন্দ্র যোগে প্রতি গাড়ী ২২শত থেকে ২৫শত ধরে জেলার বিভিন্ন ইটের ভাটাসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে বিক্রি করা হচ্ছে। এখনও চলেছে মাটি কাটার হিড়িক। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পন্য উৎপাদন ক্ষমতা।

    এ অঞ্চলে প্রচুর ফসলী জমি রয়েছে। প্রতি বছর উর্বর ফসলও হয়। এ থেকে কৃষকের আয় রোজগারও ছিল অনেক ভাল। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত শেখর নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তিনবারের হ্যাট্রিক ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন লিও, রফিক ও গোপাল বাহিনী নামে একটি প্রভাবশালী চক্র কৃষকদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে সামান্য মাটির কথা বলে জমিতে মাটি কাটতে শুরু করে। কিন্তু একবার জমিতে মাটি কাটা শুরু করতে পারলেই তাদের আর ঠেকায় কে! পুরো জমিটি তাদের দখলে চলে যায়। তারা মাটি কাটার মেশিন (ভ্যাকু) বসিয়ে পুরো জমি ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীরভাবে কেটে নিচ্ছে, তাতে পাশ্ববর্তী জমির মাটিও কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। তখন পাশ্ববর্তী জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই জমির মালিকও তখন তার জমি ওই ভুমি দস্যুদের কাছে চাপে পরে নামমাত্র মূল্যে জমিটির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এ বছরসহ গত কয়েক বছরে এভাবে মাটি কাটায় ওই এলাকার শত শত বিঘা জমি এখন খালে পরিণত হয়েছে। ভূমি দস্যু এই চক্রটি এতই প্রভাবশালী যে, তাদের ভয়ে কোন জমির মালিক কিছু বলতে সাহস পায় না। অথচ আইনে ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী এসব অপরাধীর শাস্তি হচ্ছে অনধিক দুই বছরের কারাদন্ড বা দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

    এব্যাপারে শেখরনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন লিও কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত সুরে বলেন আমার জমির মাটি আমি কাটবো কাকে জানিয়ে কাটবো। আমি কাউকে জানানোর প্রয়োজন করি না।

    এ ব্যাপারে শেখরনগর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের জমি নিজে কাটলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে ওখানে মাটির ব্যবসা করলে সে বিষয়ে আপনারা লেখেন তাতে আমাদের সুবিধা হয়। ইতিপূর্বে আমি সরেজমি গিয়ে ছিলাম এবং সেখানে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ড্রাম ট্রাক বন্ধ করার জন্য পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম।

    এব্যাপারে শেখরনগর ইউনিয়নের সহকারী তহলিদার শারপিন ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার উপজেলার অফিসারদের সাথে কথা বলে আগামীকাল ব্যবস্থা নিচ্ছি।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আহম্মেদ সাজ্জাদ কবির বলেন, আমি নির্বাচনী ডিউটিতে রয়েছি। আগামীকাল লোক পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ