• রাজনীতি

    সিরাজগঞ্জ পৌর আ.লীগের সম্মেলনে হট্টগোলে শেখ হাসিনার ক্ষোভ

      প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:৩৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সদ্য অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে হট্টগোল ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। মঙ্গলবার গণভবনে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েকজন সদস্য জানান, মঙ্গলবারের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় গত রোববার সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হট্টগোলের প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সবাইকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

    এ সময় সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হট্টগোলের ঘটনায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। এ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন ডা. হাবিবে মিল্লাত। সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হট্টগোলের ঘটনায়ও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কারো বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী আত্মীয়কেও ছাড় দিচ্ছেন না, দেবেনও না।

    প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জের এ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মতিন ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজুকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যুবলীগ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হককে। এই তিন নেতাই অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ডা. হাবিবে মিল্লাত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তাকেও ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাপতিমণ্ডলীর এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অ.) ফারুক খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

    আগামী তিন মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের তৃণমূল সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলের জাতীয় সম্মেলন আয়োজনেরও আভাস দিয়েছেন। বৈঠকে সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও উপজেলার সম্মেলন নিয়ে আলোচনার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি এ নির্দেশ দেন। এ সময় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ