• জনপদ

    সাহেবগঞ্জে ফুলজোড় নদীর ওপর এক মাত্র ভরসা নৌকা

      প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:৩৮:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ। উপজেলার নলকা ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর ফরিদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতুর দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা। নদীটির দুই পারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ঘাট ব্যবহার করে

    প্রতিদিন নদী পার হয় উপজেলার নলকা ও ঘুড়কা ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ। এলাকার অন্তত ১০ জন বাসিন্দা বলেন, নদীর পূর্ব পারে রয়েছে কেসি ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়, কেসি ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঙ্গারু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। আর পশ্চিম পারে জিআর কলেজ, জিআর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও দাদপুর-সাহেবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় অবস্থিত।

    নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে প্রতিদিন নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এছাড়া প্রতিদিন রিক্সা, ভ্যান, বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল পারাপার হয়। বিশেষ করে নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে মাদ্রাসা, হাই স্কুল এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কওমি মাদ্রাসায় যাতায়াতের জন্য ভরা বর্ষা মৌসুমে জীবনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এই খেয়া ঘাটটি প্রতিবছর উপজেলার নলকা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হয়। ফলে পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট হারে টাকা দিতে হয় সবাইকে। এ রকমই একজন শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম। সে বলল, একবার খেয়া নৌকা মিস করলে কমপক্ষে ৩০ মিনিট বসে থাকতে হয়।

    নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। প্রথমে ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে শুধু মানুষ পারাপার হতো। ডিঙি নৌকায় কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য মালপত্র পারাপার করা সম্ভব হয় না। এলাকাবাসীর দাবী বর্তমান সরকার দেশের বড় বড় নদীতে সেতু তৈরি করছে। মানুষের প্রয়োজনে রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদীর ওপর ৮’শ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরি করে উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাও নিশ্চয় পূরণ করবে সরকার।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান তালুকদার ইমন বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। গত একবছর পুর্বে সাহেবগঞ্জ জিআর কলেজ সংলগ্ন ফুলজোড় ৮’শ মিটার সেতুর স্থান ঢাকার একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছেন।
    এছাড়াও এলাকার সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জণপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ জিআর কলেজ সংলগ্ন ফুলজোড় নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। এ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে এলাকার উভয় পাশের বিশ্বরোড সংলগ্ন প্রায় লক্ষাধিক লোকের অল্প সময়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ