• খুলনা বিভাগ

    যশোরের গাছিরা খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন

      প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ , ২:৪৮:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রণব মন্ডল-অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:

    যশোরের যশ খেজুরের রস শুধু কথায় বা প্রবাধে নয়, কাজেও প্রমাণিত। শীতের আমেজ শুরু হয়েছে ।তাই প্রতি বছরের মতো এবারও যশোরের ঝিকরগাছা ,বেনাপোলের বাকলা-শার্শা ,অভয়নগরের সুন্দলী ও বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা খেজুরের রস আহরনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন।গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস বের করার জন্য শুরু করেছেন প্রাথমিক পরির্চযা ।স্হানীয় ভাষায় এটাকে গাছ তোলা বলে।এক সপ্তাহ পরই আবার চাছ দিয়ে নলি ও গুজা লাগানো হবে রস আহরনের জন্য।

    খেজুর গাছ থেকে রস বের করতে তিনস্তর পেরিয়ে পরেই রস আহরণ শুরু হয়।গ্রাম বাংলায় এখন চোখে পড়ছে খেজুর গাছ তোলা ও চাছার দৃশ্য ।গাছিরা এখন মাঠে মাঠে মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কিছুদিন পরই গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবন থেকে সমুধর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হয়ে উঠে নতুন গুড় ,পাটালি তৈরীর উৎসব ,গ্রামে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা,পায়েস ,মুড়ি- মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরী করার ধূম পড়বে।

    আর রসে ভেজা কাচি পোড়া পিঠার ( চিতই পিঠা) স্বাদই আলাদা।নলেন গুড়,ঝোলা গুড় ও দানা গুড়ের সুমিষ্ট গন্ধেই যেন অর্ধভোজন রসনা তৃপ্তিতে এর জুড়ি নেই।নলেন গুড় পাঠালির মধ্যে নারিকেল কোরা ,তিল ভাজা মিশালে আরো সুস্বাদু লাগে। বেনাপোলের হালিম চাষি বলেন, ” প্রতিটি গাছ তোলা হয় ৮০ টাকা ,আগাম গাছ তোলায় লাভ বেশি হয়।তাই আমি প্রতিদিন ৩০-৪০ টি গাছ তুলছি।”

    আবার ,অভয়নগরের গৌর চাষী বলেন ,”আগাম রস ও গুড়ে ভালো দাম পাওয়া যায়।লাভও হয় বেশি।তাই তিনি গ্রামবাসীদের আগাম গাছ কাটচ্ছেন।” যশোর অঞ্চলের রস দিয়ে তৈরী গুড়ের সুনাম রয়েছে দেশে বিদেশে।এই গুড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে অনান্য দেশেও রপ্তানি হয় ।এলাকাবাসী মনে করেন, এই গুড় রপ্তানিতে যদি সরকারি কোন উদ্দ্যেগ গ্রহন করা হয় তবে এই ব্যবসা ও বিশ্ববাসীর কাছে দেশে ভাবমূর্তি অনেকাংশ বৃদ্বি করবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ