• Uncategorized

    ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সিইসি’কে পদত্যাগ করতে হবে -শরিফুল ইসলাম রিয়াদ

      প্রতিনিধি ১৪ জুন ২০২৩ , ৮:২৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী বরিশাল জেলা প্রতিনিধি

    সিইসির ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতীকী দাফন কর্মসূচি।
    নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় মুখ্য। কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বারবার একটি নিরপেক্ষ জায়গায় পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন নিয়োগ দিচ্ছেন৷ যারা ইনিয়েবিনিয়ে জাতিকে ধোকা দিয়ে বারবার প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে চলছে। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল-এর নেতৃত্বাধীন কমিশন অতীতের সব নির্লিপ্ততা পিছনে ফেলে ইতোমধ্যে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের পরিচিয় দিচ্ছেন।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ পিয়াস এর সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাইদুল হাসান সিয়াম এর সঞ্চালনায় শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাণ্ডজ্ঞানহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ১৪ জুন ২০২৩ বুধবার বিকাল ৪টা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতীকী দাফন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ” তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?” শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বের সাথে চরম বেমানান। এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইতোমধ্যে সিইসি’র এমন বক্তব্যেকে সচেতনমহল পাগলের প্রলাপ বলে অবিহিত করেছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সিইসিকে পদত্যাগ করার আহবান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ ব্যর্থ ও অযোগ্য সিইসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

    প্রধান অতিথি আরো বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগ বিগত সময়ে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে যার বাস্তব প্রমাণ বরিশাল সিটি নির্বাচন। হাজার হাজার বহিরাগত এনে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচনের পরিবেশকে ব্যাহত করেছে। বাংলাদেশের আদর্শিক রাজনীতি চর্চায় হুমকি হিসেবে কাজ করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসের সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি বন্ধ করার জোর দাবি করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুন্তাছির আহমাদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, দফতর সম্পাদক শিব্বির আহমাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমূখ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ