• বরিশাল বিভাগ

    বাকেরগঞ্জের পায়রা নদীরভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে বসত ভিটা ও আবাদি জমি

      প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০২২ , ৩:২৪:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    বাকেরগঞ্জ-বরিশাল:

    বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নে পায়রা নদীর ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের চিরচেনা বসত ভিটা ও আবাদি জমি। গত ১০ বছরে প্রায় ৩ হাজার ফিট জমি জমা ও প্রায় ১ হাজার বসত বাড়ি, প্রচুর গাছপালা ও ফসলী জমি বিলীন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষীপাশা, দক্ষিণ লক্ষীপাশা, দুধলমৌ গ্রামের মানুষ এখন নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা। চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে অসহায় কৃষককে। ভরপাশা ইউনিয়নে এমন দৃশ্য এখন নৈমিত্তিক ঘটনা।

    পায়রা নদীর ভাঙনে শত শত বাড়িঘর, মসজিদ, বিদ্যালয়, বিস্তীর্ণ জনপদ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ যেন নেই। এ জনপদকে রক্ষার ব্যাপারে নেই কারো কোনো উদ্যোগ। যুগের পর যুগ ধরে পায়রা নদীর সর্বনাশা অব্যাহত ভাঙনে নদী পারের শত শত ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গুজার ঠাই হারিয়ে এসব লোকজন অনত্র বসবাস করছেন। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোন উদ্যোগ নেই জন প্রতিনিধিদের। ভরপাশা ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিনিয়ত এই এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এ নিয়ে অতীতে সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

    দুধলমৌ গ্রামের ইউনুস আলী হাওলাদার জানান, পায়রা নদী,পান্ডব নদী,তুলাতলী এই ৩ নদীর মোহনায় নদী ভাঙ্গনে আমরা সব হারিয়েছি। শত শত ঘরবাড়ী এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছে। আরো বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। বর্ষা মৌসুমে ভেরি বাধ না থাকায় নদীর পানি বসত বাড়িতে প্রবেশ করে তখন জনদূরভোগ চরমে পৌঁছায়। জনপ্রতিনিধিদের বারবার অবগত করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। লক্ষীপাশা গ্রামের সুমন গাজী জানান, পায়রা নদী ধীরে ধীরে ভরপাশা ইউনিয়ন খেয়ে ফেলছে।

    এভাবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রোহন করবেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনে আমরা সব হারিয়েছি। পানি উন্নয়নবোর্ড নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কখনো এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ