• Uncategorized

    পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন, ,চেয়ারম্যানকে ঘূষ না দেয়ায় ভুয়া ওয়ারিস সনদ দিয়ে হয়রানীর শ্বিকার।

      প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ১২:৪৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)

    পটুয়াখালী জেলা  প্রতিনিঃ-

     

    কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘুষ না দেয়ায় জমি সংক্রান্ত ঘটনায় ভুয়া ওয়ারিস সার্টিফিকেট দিয়ে এক পরিবারকে হয়রানী করা অভিযোগ উঠেছে।

    এ ব্যপারে দীর্ঘ ৯ বছর ন্যয় বিচারের আশায় জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আদালতের দ্বারস্ত হয়েও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। সর্বশেষ (২২ আগষ্ট) শনিবার পটুয়াখালী জেলা  প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরেওই উপজেলার বাসিন্দা জনৈক শাহ আলম হাওলাদার।।

    অভিযোগে বলা হয়-২০১১ সালে জবেদ আলী কাজী, পিতা ইয়াসিন কাজীকে দখলদার দেখিয়ে এবং ও ভুয়া পর্চা দিয়ে তৎকালিন কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খানের কাছে ওয়ারিস সার্টিফিকেটের দাবী করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে মুল পর্চা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদের জমা দিলে তৎকালিন চেয়ারম্যান অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত সকল নথিপত্র গায়েব করেন। পরক্ষনে রাজ্জাক সিকাদার পূন তদন্তের দাবী জানালে ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য সালাম মোল্লা ও ফজলুল করিমকে তদন্তে ন্যস্ত করেন।

    ওই তদন্তে ইয়াসিন কাজী ও তার ছেলে জবেদ আলী কাজী উক্ত ইউনিয়নে ইয়াসিন ও তার ছেলে জবেদ আলী বাসিন্দা নয় ও  ওই ইউনিয়নে মৃত্যু বরন  করেনি তারা বরিশাল হিজলার বাসিন্দা উল্লেখ প্রতিবেদন দাখিল করেন। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্জাক সিকদার পূনরায় আবেদন করলে ইউপি সদস্য ফজলুল করিম ও সালাম মোল্লা তৃতীয় দফায় তদন্ত প্রতিবেদনে জবেদ ইয়াসিন কাজী ও তা ছেলে জবেদ আলীকে নীলগঞ্জের বাসিন্দা দেখায়। ভুক্তভোগীরা বলেন-১৯৬১ পূর্বে মুসলীম পারিপারিক আইনানুযায়ী পিতা জীবিত থাকাকালিন ছেলে মারা  গেলে ওই ছেলে ওয়ারিসগন দাদার সম্পাত্তিতে উত্তরাধিকারী হয়না। সে ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষের দ্বারা আর্থিক সুবিদা নিয়ে জবেদ আলীকে তার পিতা ইয়াসিন কাজীর ওয়ারিস উল্লেখ করেন। প্রকৃতপক্ষে পিতা ইয়াসিন কাজীর মৃত্যুর পূর্বে ছেলে জবেদ আলী মারা যাওয়ায় জবেদ আলী পিতার সম্পত্তিতে কোন ওয়ারিস নন।

    এঘটনায় ভুক্তভোগী ইয়াসিনের ওয়ারিস মোঃ রেজাউল করিম ঢালি ত্রুটিপূর্ন ওয়ারিসের সংশোধন চেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে চেয়ারম্যান বিশ লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা না নিয়ে সহায়তার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে হুমকী-ধামকীর শিকার হতে হয়।

    তাদের পরে তৎকালিন জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে জেলা প্রশাসক কলাপাড়া ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তৎকালিন ইউএনও এবিএম সাদিকুর রহমান তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়।

    ইউএনও এর প্রতিবেদনে বলা হয় ইয়াসিন কাজীর ছেলে জবেদ আলী পিতার পূর্বে মারা যাওয়ায় ইয়াসিন কাজীর লোকান্তরে ওয়ারিস বহাল থাকেন তার একক পূত্র সেরাজুল হক কাজী। ইউএনও এর প্রতিবেদনের আলোকে নীলগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান  কর্তৃক একটি প্রত্যয়নে উল্লেখ করেন- খাশাল কাজীর ছেলে ইয়াসিন কাজী তার ছেলে জবেদ আলী কাজী নীলগেঞ্জর বাসিন্দা   নয় এবং মারাও যায়নি।

    এদিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার পাচ নং হিজলা গৌরবদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম খোশাল কাজীর ছেলে ইয়াসিন কাজীর লোকান্তরে তার স্তাবরও অস্তাবর সম্পত্তির মালিক হয় তার একক ছেলে সেরাজুল হক কাজী।

    এ প্রসঙ্গে নীলগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন-প্রথম তদন্তে অসঙ্গতি ছিল তাই পূনরায় তদন্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ