• Uncategorized

    নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ

      প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২১ , ৪:০৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো. তুহিন ফয়েজঃ

    নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ ৷ মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছে ২ হাজার কেজি বরফ।
    জানা যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার মাছ বাজার সংলগ্ন হাজিপুর গ্রামের নজরুল বরফ কল বসিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি বরফ উৎপাদন করে অবৈধভাবে জাটকা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে ৷ঝাটকা নিধন নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও কিভাবে বরফ কল বসিয়ে ঝাটকা ব্যবসায়ীদের কাছে বরফ বিক্রি করছে এমন প্রশ্ন জনতা বাজারের অন্নান্য ব্যবসায়ীদের ৷

    বিশেষ সুত্রে জানা যায় জাটকা সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ঝাটকা ব্যবসায়ীরা নজরুলের বরফ কল হতে প্রতিদিনিন শত শত কেজি বরফ কিনে নেন । এছাডাও জনতা বাজারে প্রতিদিন বিকেল ৩টা রাত ১০টা ও ভোর ৪টা হতে ৬ট পর্যন্ত ৪/৫ লক্ষ টাকার ঝাটকা মা বেচা-কিনা হয় বলেও জানা যায় ৷এই ঝাটকা ব্যবসায়ীরা পিকাফে করে ভোর রাতে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে উপজেলার ব্যারীবাধের ভিতরে বিভিন্ন গ্রামের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিক্রি করে থাকেন এই ঝাটকা ৷

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঝাটকা ব্যবসায়ী বলেন ঝাটকা ভালোই ধরা পরে তবে ছাইজে একটু ছোট বৃস্টি হলে ভালো হতো ঝাটকা মাছগুলো তাড়াতাড়ী বড় হতো ৷

    জনতা বাজারের বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির জানান,আমাদের বাজারে অবৈধভাবে কেউ ব্যবসা করলে আমাদের বাজারের বদনাম হবে আমরাও চাই এধরনের কার্যকলাপ থেকে যাতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা বিরত থাকেন এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কেউ অবৈধভাবে ব্যবসা করবে তা আমরা মানবনা ৷

    জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ বিচরণ ক্ষেত্রে ৬টি অভয়াশ্রমে ৪৩২ কিলোমিটার নৌ-সীমানায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ইলিশসহ যেকোনো মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও সরবরাহ নিষিদ্ধ রয়েছে। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২বছর কারাবাস সহ আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ