• Uncategorized

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অভিনেত্রী তানিয়া ও সৌরভের বিরুদ্ধে আদালত অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ।

      প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২০ , ১:৩৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামে অভিনেত্রী তানিয়া বিশ্বাস ও তার চাচাতো ভাই সৌরভের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অবমাননা করে প্রাপ্ত জমির মালিক মমতাজ বেগম এর জমি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে।

    ঘটনার সুএে, সরেজমিন অনুসন্ধানে জানাগেছে, জে,এল নং-১৭, মৌজা চান্দুপাড়া,খেবট নং-৫০৪, সাবেক দাগ নং-৩৫১৫ জমির পরিমান ২৩.১১ এবং এর আর,এ নং-২১৮ ও এস, এ ১৩৮, দাগ নং- হাল ১৬৫৫, ১৬৫৬, ১৬৫৭, ১৬৫৮, ১৬৫৯, ১৬৬০, ১৬৬১, ১৬৬২, ১৬৬৩, ১৬৬৪, ১৬৬৫, ১৬৬৬, ১৬৬৭, ১৬৬৮, ১৬৬৯, ১৬৭০, ১৬৭১, ১৬৭২, ১৬৭৩, ১৭১৪, ১৭১৫, ১৭১৬, ১৭১৭ নং দাগে জমির পরিমান বৃদ্ধিমতে ২৫.৫২ একর। এই ২৫.৫২ একর জমির মধ্যে ১১.৩৫ এর জমির মালিক ওয়ারিশ সূত্রে মোসাঃ মমতাজ বেগম ও আঃ সালাম হাওলাদার গং।

    বশার গং ৫.৬৬ একর এর মালিক এবং আলাম গাজী গং ৮.৫১ এর মালিক। উক্ত জমির ভিতরে ১৪.৪২ একর জমি জ্বাল জালিয়াতি ও খমতার বলে ভোগ করার জন্য অভিনেত্রী তানিয়া ও তার চাচাতো ভাই সৌরভ বিশ্বাস গং তাদের পূর্ববর্তী হালিমুননেছার নামে একটি জ্বাল দলিল সৃষ্টি করে। যার নং-৬৫৬, তারিখ-২৯.০৪.৪৬। এই জ্বাল দলিল বলে তানিয়া গং জমি জোর জুলুম করে ভোগ করার পায়তারা চালাতে থাকে। এ অবস্থায় তানিয়া ও সৌরভ বিশ্বাস গংদের জ্বাল দলিল বাতিল করার জন্য জমির মালিক আসমান আলীর ওয়ারিশ গণ মোসাঃ মমতাজ বেগম গং বাদী হয়ে ২৯.৩.২০১৭ তারিখ পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪০/১৭। মামলার বিবাদীরা হলো- তানিয়া ও সৌরভ বিশ্বাস গং, বশার গং এবং আলাম গাজী গং সহ ৪৬ জন।

    উক্ত মামলাটিতে মমতাজ বেগম গং ২২.৮.২০১৭ তারিখ রায় প্রাপ্ত হন এবং ০৪.০৩.২০১৯ তারিখ সাব- রেজিষ্টার অফিসে দলিল সংশোধন হয়। দলিল বাতিল হওয়ার পড়েও মামলা নং-১৪০/১৭ এর অভিনেত্রী তানিয়া ও সৌরভ গং আদালতের রায় অমান্য করে উক্ত জমি বিভিন্ন লোকের কাছে বেআইনি ভাবে বিক্রি করে।

    যার দলিল নং-৪২৩১/১৮ দাতা-অমিতাফ রানা ও তানিয়া আহমেদ, গ্রহীতা- আলী হোসেন, রিজিয়া, দলিল নং- ৪২৩২/১৮ দাতা- অমিতাফ রানা ও তানিয়া আহমেদ ও গ্রহীতা-মোঃ শাহ বিশ্বাস, সুমি বেগম, ইজাজ আকন, সুফিয়া, ৪২৩৩/১৮ দাতা-মোঃ নাসির, মোঃ নফল প্যাদা, ইমাম আলী প্যাদা, মোঃ মোয়াজ্জেম মোল্লা, গ্রহীতা-ফকর উদ্দিন। এভাবে তানিয়া ও সৌরভ বিশ্বাস গং জমির মালিক না হয়েও জালিয়াতি করে জমি বিক্রি করে বলে জানা গেছে।

    এবিষয়ে উপরোক্ত জমির ১১.৩৫ একর এর প্রকৃত মালিক মমতাজ বেগম জানান, তানিয়া তার স্বামী কণ্ঠশিল্পী এসআই টুটুল এর সাথে ঢাকায় থাকে। তানিয়ার মামা অভিনেতা সোহেল রানা ওরফে মাসুদ পাভেজ ও রুবেল। তানিয়া ঢাকায় থেকে ক্ষমতা ও টাকার বলে কলাপাড়ায় তার চাচাতো ভাই সৌরভ বিশ্বাস গংদের দিয়ে জমি দখলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

    সৌরভ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মমতাজ বেগমকে প্রায়ই প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং জমিতে চাষাবাধঁ করলে ফসল কেটে নিয়ে যায়। তানিয়া গংদের জ্বাল দলিল যার নং-৬৫৬ বাতিলের মামলা করার পর থেকেই সৌরভ বিশ্বাস প্রায় তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,মামলা মকমদ্দমার ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। মমতাজ বেগম গংদের জমি দেখাশুনা করার জন্য একটি টোং ঘর আছে। সেখানে মমতাজ তার লোকজন নিয়ে তার জমি ও মাছের ঘের দেখাশুনার জন্য গেলে সৌরভ গং হামলা চালালে মমতাজ বেগমের লোকজন প্রানের ভয়ে পালিয়ে যায় এমতাবস্থায় সৌরভ ও তার লোকজন মিলে মমতাজ বেগমকে টেনেহেচড়ে টোং ঘরে নিয়ে শ্লীতহানির চেষ্টা করে। এসময় মমতাজ বেগমের ডাকচিৎকার শুনে তার দেবর ও স্থাণীয় লোকজন এসে পড়লে সৌরভ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চলে যায় এবং যাবার সময় মমতাজ বেগমকে আবারো প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়।

    এঘটনায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৫৬০/২০১৯। বিজ্ঞ আদালত কলাপাড়া লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবনি কুমাড় রায় এর উপর তদন্ত ভার প্রদান করেন।

    লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনতা বিদ্যালয়ের সভাপতি তপন বিশ্বাস তানিয়া ও সৌরভ গংদের চাচাতো ভাই বলে তার চাপে দীর্ঘ এক বছর অতিবাহীত হলেও অবনি কুমাড় রায় কোন তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন নাই। ২৭.৬.২০২০ ইং তারিখ সকাল ১০টায় জনতা বিদ্যালয়ে মমতাজ বেগমকে উপস্থিত থাকার জন্য অবনি কুমাড় রায় একটি নোটিশ পাঠান। মমতাজ বেগম ঐ দিনে বিদ্যালয়ে যথাসময়ে তার স্বাক্ষীগণ নিয়ে উপস্থিত হলে সৌরভ গং তার স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে মমতাজ বেগকে আটকিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখেন অবনি কুমাড় রায় ও সৌরভ গং।

    পরবর্তীতে ক্রমাগত খুনজখমের ভয়ভীতি দেখালে মমতাজ বেগম পটুয়াখালী বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আদালতে সৌরভ গংদের বিরুদ্ধে একটি ৭ধারা মামলা করেন। যার মামলা নং-এম.পি ৪০/২০২০। সৌরভ একজন সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট হিসেবেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে কলাপাড়া , পটুয়াখালী ও ঢাকাতে জানা অজানা একাধীক মামলা রয়েছে। সাবিনা বেগম গণধর্ষন মামলা নং- ৩১, তাং-২৪.১২.১২ এর ২নং আসামী সৌরভ বিশ্বাস, চাঁদাবাজি মামলা নং- ১৫৪/২০১৮ এ ৯ নং আসামী সৌরভ বিশ্বাস যার সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং জেলও খেটেছে সৌরভ꫰ কলাপাড়ায় পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই কে মারধরের মামলা জি আর নং-৩৩৬/১৪ এর ৩নং আসামী সৌরভ বিশ্বাস, সি.আর মামলা নং-৫৪৫/০৮, ধারা-৪৫২/৩৮০ এর আসামী সৌরভ বিশ্বাস।

    তানিয়া ও সৌরভ গং এর ভয়ে মমতাজ বেগম প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই জমির প্রকৃত মালিক হয়েও এভাবে হয়রানি বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কাছে এর সুবিচারের দাবী জানান মমতাজ বেগম।

    এবিষয়ে অভিনেত্রী তানিয়ার মুঠোফোনে বার বার (০১৮৪৪১৫০১৫০) কল দিলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

     

     

    উক্ত অভিযোগের বিষয়ে সৌরভের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মমতাজ বেগম গংরা আমাদের দলিল বাতীলের যে মামলা করেছে তাতে যে রায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে ꫰ আমরা পটুয়াখালী জজ কোর্টে আপিল করলে বিজ্ঞ আদালত স্টে আদেশ দিয়েছেন। আর আমার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলোর কথা উল্লেখ করেছে তা খারিজ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ