• রাজশাহী বিভাগ

    সিরাজগঞ্জে সাদা ঝুরি তৈরি করে শতাধিক নারীর দিন বদল

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:০৪:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল গ্রামে তৈরি করা হচ্ছে মুখোরচক সাদা ঝুরি। এ ঝুরি তৈরীর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে অনেক নারী। এতে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে ওই গ্রামের শতাধিক নারীর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর দফায় দফায় ভাঙ্গনে ওই গ্রামের অনেক পরিবারের বাড়িঘর ও জমিজমা বিলিন হয়ে যায়। এতে অনেক পরিবার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে এবং ওই গ্রামে বালুচর পড়ায় এখানে কোন ফসল চাষাবাদ হয় না। জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজও পায়না ওই গ্রামের মানুষ।

    এছাড়া অনেক পরিবারের পুরুষ সদস্য স্ত্রী পরিজন ফেলে অন্যত্র চলে গিয়ে আবারো সংসার শুরু করে। এ কারণে তাদের দিন কাটছিল অর্ধাহারে ও অনাহারে। অবশেষে স্বল্প পুঁজিতে অনেক অসহায় নারী বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে এ ঝুরি তৈরির কাজ বেছে নেয় দীর্ঘদিন ধরে। চালের গুড়া ও লবনের পানি দিয়ে এ সাদা ঝুরি তৈরী করা হয়। হাটপাচিল গ্রামের নারীদের তৈরী এ সাদা ঝুরির কদরও বাড়ছে। মুখোরচক এ ঝুরি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অনেক স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। এতে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের পালা শুরু হয়েছে ও হচ্ছে।

    ইতোমধ্যেই শতাধিক নারী ঝুরি তৈরি করে সাংসার চালাচ্ছে এবং তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াও করাচ্ছ। ইতিমধ্যেই এ ঝুরি তৈরী ও বিক্রি করে অনেক নারী এখন স্বাবলম্বী। এ নারীদের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক গ্রামের নারীরা এখন এ ঝুরি তৈরির কাজে ঝুঁকছে। ওই গ্রামের ঝুরি তৈরীকারি সকিনা, আঞ্জুমান ও বিলকিসসহ অনেক নারী জানান, একজন নারী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ মন ঝুরি তৈরি করতে পারেন। যায় বর্তমান বাজার ম‚ল্য প্রায় ৩ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮’শ টাকা।

    তারা প্রতি কেজি ঝুরি বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
    অর্থাৎ কেজি প্রতি তাদের গড়ে লাভ হয় ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা এবং প্রতি মণে লাভ হয় সাড়ে ৫’শ টাকা থেকে ৬’শ টাকা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মাষ্টারসহ অনেকেই বলন, এ ঝুরি তৈরী কাজে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে এ সাদা ঝুরি লাভজনক শিল্পে পরিণত হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ