• আইন ও আদালত

    পটুখালীতে কথিত আ’লী নেতা কতৃক শালীশ ব্যবস্থার নামে জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর! থানায় অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:২৫:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    1. মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলা বদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব গাবুয়া চিনাপুটি  সংলগ্ন ঘড়ামী বাড়ীর মোঃ হানিফ ঘড়ামীকে স্থানীয় কথিত আ’লী নেতা কতৃক শালীশ ব্যবস্থার নামে জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী হানিফ ঘড়ামী পটুয়াখালী সদর থানায় গত ৪’ই সেপ্টেম্বর ২০ইং তারিখ একটি লিখিত অভিযোগ রুজু করেন। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২২ আগষ্ট ২০ইং তারিখ সকলা অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকা স্থানীয় মামুন মাদবর (২৮)বোন লিপি আক্তার (৩৫) সহ- অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হানিফ ঘড়ামীর স্ত্রী ও কন্যা চাঁদনির উপর প্রানঘাতি আক্রমণ চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে

    হানিফ ঘড়ামীর স্ত্রী ফরিদা বেগম  পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হন।

    অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, হানিফ ঘড়ামী নিতান্তই হতদরিদ্র মানুষ,জীবিকার তাগিদে কর্মস্থল হয়েছে সুদুর চিটাগং। পরিবারের কর্মক্ষম মানুষ বলে তিনিই একজন। পরিবারের উপর বর্বরচিত হামলার সময় তিনি ছিলেন কর্মস্থলে। ঘটনার সার্বিক বিষয় জানতে পেরে মানবাধিকার সংগঠন এনপিএস পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়। এবং সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিবারটিকে আইনী সহায়তা দিতে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত আবেদন করেন। লিখিত আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের এএসআই রাসেল’কে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।

    থানাপুলিশের হস্তক্ষেপের কারনে হামলাকারীরা স্থানীয় শালিসি ব্যবস্থার জন্য দেনদরবার শুরু করে। এর’ই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় শালিস গন সুপরিকল্পিত একটি আয়োজন করে স্থানীয় কথিত আ’লীগ নেতা-বশির মোল্লা নাসির মৃর্ধা,জাকির হাং,টমাশ মুন্সী,জোর পূর্বক হানিফ ঘড়ামীর কাছ থেকে রেফ স্ট্যাম্মে স্বাক্ষর নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

    এছাড়াও যানাযায় বর্তমানে, অভিযোগকারী পালিয়ে বেড়াচ্ছে এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী হানিফ ঘড়ামী পূনরায় যোরযবরদস্থী স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য থানায় একটি অভিযোগ পেশ করেন যার ডায়েরী নং ৩৭৯/২০ ইং।

    এবিষয় বদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক মিয়ার  সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি  জানতে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    ভুক্তভোগীর পরিবারটি প্রতিনিয়ত আতংকে জীবন জাপন করছে। তাই আইনি সহায়তায় চেয়ে উপরস্থ কর্মকর্তাদের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।  ।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ