• সারাদেশ

    নোয়াখালীতে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার-১

      প্রতিনিধি ১৫ জুন ২০২৩ , ৯:১৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    জুনায়েদ কামাল-নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    নোয়াখালী সদরে জোড়া খুনে মেয়েকে হত্যা করতে চাননি ‘ঘাতক’ আলতাফ। তবে মায়ের কারণে তাকেও খুন করতে হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আলতাফ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার (১৪ জুন) রাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের কাছে জবানবন্দি দেন আসামি।

    জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ওমান থেকে নুরুন্নাহারের সঙ্গে রং নম্বরে পরিচয় আলতাফের। নুরুন্নাহার তাকে দেশে এসে স্বাবলম্বী হতে বলেন। এজন্য ব্যবসার পুঁজি হিসেবে তিন লাখ টাকা দেওয়ারও আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসে ওমানের ভিসা বাতিল করে ৮ জুন পরিবারের অগোচরে দেশে এসে একটি ভাড়া মেসে ওঠেন আলতাফ। পরে তিনি ১০ জুন নুরুন্নাহারের সঙ্গে দেখা করলে দু-একদিনের মধ্যে টাকা এবং তার বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিতে বলেন নুরুন্নাহার। তবে টাকা না দিয়ে ঘোরাঘুরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আলতাফ

    পরে বুধবার (১৪ জুন) সকালে নুরুন্নাহারকে ভয় দেখানের জন্য বাজার থেকে ছুরি কিনে তার বাসায় যান আলতাফ। টাকার জন্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলতাফকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখালে সে ছুরি দিয়ে নুরুন্নাহারকে আঘাত করতে যান। নুরুন্নাহার দৌড়ে মেয়ে প্রিয়ন্তীর কক্ষে যান। সেখানেই ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। এসময় মাকে বাঁচাতে মেয়ে এলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তবে মেয়েকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আলতাফের ছিল না বলে তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন আসামি আলতাফ।

    বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বার্লিংটন মোড়ে মানিক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ফজলে আজিম কচির স্ত্রী নুরুন্নাহার (৪০) ও তাদের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে ফাতিমা আজিম প্রিয়ন্তীর (১৭) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আলতাফ হোসেনকে (২৮) পালিয়ে যাওয়ার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে। ঘাতক আলতাফ লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ