• আইন ও আদালত

    ঋণের টাকা চাইতে গিয়ে হত্যার শিকার, ৭ দিন পর মাটিচাপা মৃতদেহ উদ্ধার

      প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৫২:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম আল-আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:

    লক্ষ্মীপুরে ঋণের টাকা চাইতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন মো. ইউনুছ আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ০৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের কালু হাজী সড়কে পাশে একটি বাড়িতে মাটিচাপা দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৪ আগস্ট তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাতদিন পর মৃতদেহের সন্ধান পায় তারা। এ ঘটনায় ঘাতক মো. জাবেদ হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।

    নিহত ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ গ্রামের গণি হেডমাস্টার সড়কে বসবাস করতেন। তার বাবার নাম আব্দুল রশিদ মোল্লা। আটককৃত জাবেদ একই ওয়ার্ডের কালু হাজি সড়কের মিঝি বাড়ির সফিকুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় নির্মাণ শ্রমিক এবং চা দোকানী। ইউনুছের স্ত্রী সুলতানা জামান জানান, ২৪ আগস্ট বিকেল প্রায় সাড়ে ৪ টার দিকে তার স্বামী মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি। পরদিন তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন।

    লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা বলেন, গত ২৪ আগস্ট বিকেল থেকে ইউনুছ আলী নিখোঁজ রয়েছেন। পরদিন তার স্ত্রী সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করে। সেই সূত্র ধরে আমরা ভিকটিমের সন্ধান শুরু করি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি ওই রাতে ভিকটিক কালু হাজী সড়কের বাসিন্দা জাবেদের কাছে আসে। এরপর থেকেই তার সন্ধান ছিল না। আমরা জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন জাবেদ তাকে হত্যা করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে।

    তিনি বলেন, ইউনুছ আলী “গ্রামীন বাংলা” নামের একটি মাল্টিপারপাসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ দিত। সে নিজেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন। জাবেদ তার কাছ থেকে দৈনিক আড়াইশ টাকা কিস্তি পরিশোধের শর্তে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঘটনার আগে সে কয়েকটি কিস্তি আটকে দেয়। ঘটনার রাতে ইউনুছ কিস্তির টাকা নিতে জাবেদের বাড়ির সামনে থাকা তার চা দোকানে যায়। এ সময় তাদের দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাবেদ লাঠি দিয়ে ইউনুছের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে সে নিজেই ইউনুছের মৃতদেহ দোকানের পেছনে মাটিতে পুঁতে রাখে। ইউনুছের মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় সে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা বলেন, মৃতদেহ মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইউনুছের মোটরসাইকেলটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ