• বরিশাল বিভাগ

    দুমকিতে শিক্ষক মিলন মেলায় চেয়ারম্যান দম্পতিকে রাজস্মিক সবংর্ধনা

      প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ১১:১০:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো আবুবকর মিল্টন-পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মিলন মেলার নামে বিশেষ ব্যক্তিত্রয়কে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ শিক্ষক মিলন মেলায় দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার ও তার সহধর্মীনী ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মমতাজ শাহানারাকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জণ করায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়। গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্স চত্তরের সুবিশাল প্যান্ডেলে ইউএনও অনামিকা নজরুলের সভাপতিত্বে সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত প্রধান অতিথি ছিলেন।

    বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মাদ আলী, রেজিস্ট্রারার প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু, সাবেক ডিন অধ্যাপক আ. ক.ম মোস্তফা জামান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মুজিবুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার রহমান, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এড. মাসুদ আল মামুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন প্রমূখ বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীগণ বাধ্যতামূলক ভাবে উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দু’বছর পূর্বে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জণের কৃতিত্ব স্বরূপ ওই দু’জনের সবংর্ধণা অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রত্যেকের ১০ টাকা করে চাঁদাসহ উপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শিক্ষার মানউন্নয়নের কথা বলে ডেকে এনে রীতিমতো প্রতারণা করা হয়েছে। সারাদেশের কোথাও এমন আয়োজনের নজির নেই।

    প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ ব্যতিরেকে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে শিক্ষকদের ব্যবহার করা মোটেই ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে ইউএনও অনামিকা নজরুল বলেন, উপজেলা শিক্ষক পরিবারের পরামর্শক্রমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ত্রুটির কিছু দেখছি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন্নাহার ইয়াসমিন বলেন, ইচ্ছা না থাকলেও আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, উপজেলা শিক্ষক পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক মিলন মেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার রহমান ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা মুহা: মুজিবুর রহমান বলেন, এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। আমন্ত্রণ পত্রে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নাম দেখে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি মাত্র। জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, শিক্ষার মানউন্নয়নের লক্ষে শিক্ষক মিলন মেলার আয়োজন করা যেতে পারে, এতে দোষের কিছু নেই। তবে এর অন্তরালে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলে সেটা দোষনীয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপসিলপূর্ব সময়ের অনুষ্ঠানটি নির্বাচনে কোন প্রভাব থেকে থাকলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন সেটা দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এমন অনুষ্ঠানের সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। কাউকে অনুমতিও দেয়াও হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ