• বরিশাল বিভাগ

    আমতলীতে সাবেক শশুরের অপহরন মামলা থেকে রেহাই পেতে,আইনি সহায়তা চায় ১ম জামাতা!

      প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:২২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-স্টাফ রিপোর্টার:

    আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোঃ বাহাউদ্দীন হাওলাদার ওরফে ঘেন্ডি বাহাউদ্দীন এর কন্যা সোনিয়া (১৯) এর স্বামী রহিম(৩৯) কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ আত্মসাৎ, জমি লিখে দেয়ার দাবি ও মামলা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেয়াসহ মেয়ের প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে অর্থের লোভে দ্বিতীয় বিবাহ দেয়া সহ অপহরন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল রহিম।

    সরেজমিন অনুসন্ধানে ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, রহিম ও সোনিয়া একই ইউনিয়নের বাসিন্দা,প্রথমে সোনিয়ার বাড়ীর বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়ে,ছেলেপক্ষের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। তারা একে অপরের হাতদরে জেদের বসত ঘড়থেকে পালিয়ে যায় এসময় তারা শরীয়ত মোতাবেক কলমা পরেন বলে জানান রহিম । গত ২৮শে মে ২০১৭ ইং তারিখ এর কিছুদিন পরে সোনিয়ার পরিবার রহিমের বিরুদ্ধে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৩৮-১/২০১৭ উক্ত মামলায় রহিম জেল হাজতে যায় তৎকালীন সময় আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে উভয়ের বিবাহ হয়। যাহার কাবিননামা নং ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ইল তারিখ। তাদের দাম্পত্য জীবনের দেড় বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে রহিমের শশুর তার মেয়ে সোনিয়ার নামে ৫ কড়া জমি ও নগত এক লক্ষ টাকা দাবি করে।রহিম তাতে রাজি না হওয়ায় সোনিয়াকে তার বাবা নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় কয়েকদফা সালিশ মিমাংসা রফাদফা করার ঘটনা ঘটে।। এক পর্যায়ে জামাই রহিম ও শশুর বাহাউদ্দীন হাওলাদার উভয়ই দুটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং সি,আর মামলা নং ৭২১/১৯ ইং বাদী বাহাউদ্দীন, পাল্টা মামলা হয় সি,আর,মামলা নং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একই সালে আদালতে মামলা।

    এছাড়াও স্থানীয় সালিশ মিমাংসা হওয়ার পর উভয় মামলা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তো মোতাবেক রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়।কিন্তুু তার বিবাহের আগে অপহরন মামলা চলমান থাকে আরও ৪০ হাজার টাকা ও ৫ কড়া জমি না দিলে মামলা তুলবে না জেল হাজতে পাঠাবে এবং মেয়েকে স্বামীর সাথে দিবেনা বলে রহিমকে হুমকি ধামকি দেয় শশুর, শাশুড়ী স্ত্রী সোনিয়া ও তার স্বজনরা। এরই মধ্যে সোনিয়াকে প্রথম স্বামীর সাথে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ দেয়া হয় একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন সিকদারের সাথে।

    এবিষয়ে রহিম প্রশাসনের নিকট জানালে প্রশাসন এসে দেখে চলে যায় কোন সমাধান হয়নি।এছাড়াও জানা যায় বর্তমানে রহিম ও তার মা সোনাখালী বাজারে একটি ছোট্খাট খাবার হোটেল দিয়ে জীবন জীবিকা চালাচ্ছে। কিন্তুু সেটাও পারছে না সাবেক শশুর বাহাউদ্দীন হাওলাদারের দেয়া অপহরন মামলায় হয়রানি ও অর্থ দন্ডি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই প্রতারনা ও মিথ্যে হয়রানি মামলা থেকে রেহাই পেতে আইনের সহযোগিতা কামনা করছেন রহিম।

    এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করলে জানাযায়, বাহাউদ্দীন একজন লোভী ও মামলাবাজ দীর্ঘদিন ধরে রহিমের কাছ থেকে সোনিয়াকে আলাদা করে রেখে গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ দেন।এঘটনাটি অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করেছে।শুধুতাই নয় সকলের কাছে অমানবিক এবং অপহরন মামলার মিথ্যা সাজানো সাক্ষী দিয়ে রহিমকে ফাঁসানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ব্যপারে আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে গরীব অসহায় হতদরিদ্র রহিম ও তার মাকে রেহাই দেয়া ও প্রতারক বাহাউদ্দীনের বিচারের দাবি জানান রহিমসহ স্থানীয় জনসাধারণ।

    এব্যাপারে সোনিয়ার দ্বিতীয় স্বামী মামুনের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবন্ধ পাওয়া যায়। এবং সোনিয়ার সাক্ষাৎ নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এসময় ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেল্লাল নামের এক ব্যক্তি মানবাধিরকর্মী ও চৌকিদার সহ অনেকেই বলেন, বাহাউদ্দীন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে সকল কথা গোপন রেখে সোনিয়ার সঙ্গে মামুনের বিবাহ দিয়েছে এবং বিয়েতে ছেলেকে নগদ ৩০ হাজার টাকাও দিয়েছে। মামুন একটা অবিবাহিত এবং আমাদের এলাকার ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। এধরনের প্রতারনার বিচার হওয়া উচিত বলে জানান তারা।

    আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাতেন মিয়া বলেন, পিছনের ইতিহাস আমরা কেহই আগে জানতাম না এখন স্থানীয় ভাবে এর মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।

    এব্যপারে সোনিয়ার ফুফু ফাতেমা দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ,ও দৈনিক বরিশাল সমাচারকে, বলেন,ওরা বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে ওদের আমার ভাই বাহাউদ্দীন হাং আসতে বলেন, ওরা না আসায় আমার ভাই অপহরণ মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি।

    নিউজের আত্মপক্ষে, বাহাউদ্দীন হাওলাদার এর সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে এরিয়ে যান তিনি। উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে সোনিয়ার মা বলেন, আমি মহিলা মানুষ এসব ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে সোনিয়ার সাক্ষাৎকার পাওয়া যায় নি।

    এব্যাপারে আঠারোগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো,রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকেছি কথাবার্তা শুনে একটা সমাধানের চেষ্টা করছি বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ