• বরিশাল বিভাগ

    দুমকিতে প্রতিপক্ষের ঘরভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৫৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো আবুবকর মিল্টন-পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধে দেওয়ানীয় মকর্দ্দমাভুক্ত ভিটিসহ গোয়াল ঘরের মালামাল লুট ও জমিতে বেড়া দিয়ে জবর দখল করেছে প্রতিপক্ষের দুবৃত্তরা। প্রতিপক্ষের সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে নিরীহ পরিবারটিকে জিম্মি করে বর্বরোচিত জমি দখলের তান্ডব চালালেও পুলিশ রয়েছে নির্বিকার। সুবিচার পেতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে ধর্ণা দিলেও ২০দিনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দুমকি সাতানী গ্রামে চলতি বছরের ১২ডিসেম্বর রাতে জবর-দখলের ঘটনাটি ঘটেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলী সিকদারের ছেলে মো: হান্নান সিকদারের সাথে একই বাড়ীর বাসিন্দা মৃত আমজেদ সিকদারের ছেলে সেরজন আলী সিকদার গংদের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে ৩৮৮/১২ দেওয়ানী মকর্দ্দমা চলমান আছে। ঘটনার রাতে হান্নান সিকদার গংদের এসএ ২৬৫ নং খতিয়ানের ৬০৪নং দাগে বিরোধীয় জমিতে প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি গোয়াল ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুঠ ও ভিটি নিশ্চিহ্ন করে বাঁশ-কাঠের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয় প্রতিপক্ষ সেরজন আলী সিকদারের সশস্ত্র দুবৃত্তরা।

    এ ব্যাপারে ঘটনার পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর দুমকি থানায় অভিযুক্ত সেরজন আলী সিকদার গংদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে মামলার পরিবর্তে সাধারণ ডায়েরী করত: পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। হান্নান সিকদারের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শুভ প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করছে। ঘর ভাঙ্গা ও মালামাল লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের সেরজন আলী সিকদার বলেন, আমি আমার কবলাকৃত জমি বেড়া দিয়ে দখল করেছি। আমি কোন অন্যায় করিনি।

    দুমকি থানার এসআই শুভ বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই। আদালতের এখতিয়ার। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে বা হওয়ার আশংকা থাকলে সেখানে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
    দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান জানান, অভিযোগটি তদান্তাধীন আছে। তদন্তে ঘর ভাঙ্গা ও মালামাল লুটের প্রমান পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ