• অর্থনীতি

    তানোর সোনালী ব্যাংক শাখায় অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানি

      প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৪ , ২:১২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় নানা অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ফলে গ্রাহকরা এখান খেকে মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে এই শাখায় লেনদেন করতে গ্রাহকরা অনেকটা অনিহা দেখাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, গত এক বছরে এই শাখার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক একাউন্ট ক্লোজ না করলেও একেবারে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। গ্রাহকদের অনেকেই সোনালী ব্যাংক ছেড়ে বেসরকারি ব্যাংকে প্রতিদিনের লেনদেন শুরু করেছেন। এক সময় এই শাখা গ্রাহকদের পদচারণাই মুখরিত থাকলেও নানা কারণে গ্রাহকেরা ব্যাংকে লেনদেন করতে আসছেন না। এক সময় বিদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো টাকার দিক দিয়ে রাজশাহী জেলায় তানোর শাখা  প্রথম দিকে থাকলেও এখন অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।

    ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা গ্রাহকদের সেবার মান তলানীতে গিয়ে ঠেকার কারণেই ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত বেসরকারি ব্যাংক মূখী হচ্ছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, অধিকাংশ সময় আমনতের অর্থ উত্তোলন করতে কোন কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রাখা হয়। আবার বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বা বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করতে কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয় নইলে নগদ টাকার সঙ্কট দেখিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়। এমনকি নগদ অর্থ রাখতে নতুন করে সেভিংস একাউন্ট খুলতে ব্যাংকে গ্রাহক আসলে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে, তবে অবৈধ সুবিধা পেলে ঠিক কাজ করে দেয়া হয়। 

    বিদেশ থেকে গ্রাহকের অর্থ আসলে সেই দিন দেয়া হয় না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করা হয়। গত ১৫ এপ্রিল সোমবার ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্টস খুলতে গিয়ে গ্রাহকেরা হয়রানির মুখে পড়ে। ফরম নাই বলে অনেক ফেরত এসেছে।পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলে তারা তড়িঘড়ি ফটোকপি দোকান থেকে ফরম ফটোকপি করে এনে অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা পাঁচ  লাখ বা তার বেশি  টাকা উত্তোলন করতে গেলে একদিন আগে কেন জানানো হয়নি এই অজুহাতে তাদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করা হয়। তারা বলেন, টাকা জমা দিতে ঝামেলা হয় না, কিন্তু 
    উত্তোলন করতেই গিয়ে নানা হয়রানী হতে হয়।

    হঠাৎ করে ব্যাংকে দু’লাখ বা তার বেশী টাকা তুলতে গেলেই ব্যাংক ম্যানেজার অসদাচারণ করেন। অপেক্ষায় রাখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তারা আরো বলেন, ব্যবসার কাজে কখন হঠাৎ করে টাকা দরকার হয় বলা যায় না। তাই আগে থেকে টাকা তোলার কথা বলা সম্ভব হয় না। ব্যাংকের ক্যাশে টাকা থাকলেও আগে না জানানোর কারণে ম্যানেজার গ্রাহকদের টাকা দিতে চায় না। আবার শিক্ষকদের সঙ্গে ভাল আচরণ করেন না ম্যানেজার এমন কি অনেক সময় আগে টাকা নিতে হলে চেকের সঙ্গেকিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। অধিককাংশক্ষেত্রে শিক্ষকেরা বেতন তুলে অন্য ব্যাংকে নিয়মিত লেনদেন করেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ব্যাংকের একজন স্টাফ জানান,

    ম্যানেজার এ ব্যাংকে যোগদানের পর থেকে গ্রাহকদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন না। নিজেকে অনেক বড় কর্মকর্তা মনে করে গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিকমত কথা বলতে চান না। গ্রাহকেরা তার কাছে কোন কাজ নিয়ে গেলে তাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন। এতে অনেক গ্রাহকই তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকে লেনদেন আর করছে না। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক তানোর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) এসব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, এটি সরকারি ব্যাংক কেউএখানে 
    লেনদেন না করলে আমরা তাদের তো আর ধরে রাখতে পারবো না। তবে আমি গ্রাহকের সঙ্গে অসদাচারণ করি এটা সত্য নয়। তিনি বলেন, ইন্টারনেট সমস্যার কারণে অনেক সময় গ্রাহকের কিছু দুর্ভোগ হয়।#

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ