• Uncategorized

    তানোরের চাঁদপুর দাখিল মাদরাসায় নানা অনিয়ম

      প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:০৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চাঁদপুর দাখিল মাদরাসায় জাল সনদে শিক্ষকতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসী মাদরাসার বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, মাদরাসায় নিয়মিত পাঠদান হয় না।এছাড়াও মাদরাসার অস্থিত্ব ধরে রাখতে অনেক ভুয়া ছাত্র-ছাত্রী দেখানো হয়েছে। জানা গেছে, বিগত ১৯৮৮ সালে উপজেলার পাঁন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চাঁদপুর গ্রামে চাঁদপুর দাখিল মাদরাসা স্থাপন করা হয়। বিগত ১৯৯৫ সালে পাঠদান অনুমতি ও ২০০০ সালে এমপিওভুক্ত করণ করা হয়।

    স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের নানামুখী অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে স্থাপনের প্রায় চার দশকেও মাদরাসায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মাদরাসার সীমানা প্রাচীর নাই, মানসম্মত একাডেমিক ভবন নাই, নাই কমন রুম, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরী নাই। কম্পিউটার শিক্ষক নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারে না, হয় না ক্লাস। এদিকে বাইরের দোকান থেকে কম্পিউটারের কাজ করানো হয়, এতে প্রতিষ্ঠানের অনেক গোপণ তথ্য বাইরের মানুষের হাতে চলে যায়। আবার সহকারী শিক্ষক (গণিত) রয়েনা বেগমের নিবন্ধন সনদ জাল।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সৃজনশীল বোঝে এবং প্রশ্ন করতে পারে এমন শিক্ষক এখানে নাই। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা পরীক্ষার প্রশ্ন নিজেরা প্রণয়ন করতে পারেন না। শিক্ষক সমিতি বা বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেয়া হয়। আবার অনেক সময় গাইড বই দেখে প্রশ্ন তৈরি করা হয়। অথচ গাইড ও নোটবইয়ের দাপট কমাতে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এছাড়াও গত মাসে গোপণে রাজশাহীতে বোর্ড বসিয়ে দুজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ২৪ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে।একাধিক অভিভাবক বলেন, মাদরাসার সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব সুপার দেন না। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানান, মাদরাসায় শিক্ষক ১৬ জন।

    কর্মচারী ৭ ও শিক্ষার্থী রয়েছে ২৬৮ জন এবং এসএসসি পরীক্ষায় ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
    এদিকে ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার সরেজমিন মাদরাসায় দেখা গেছে, ক্লাসে ক্লাসে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী নাই সর্বসাকুল্যে মাত্র ১৬ শিক্ষার্থী দেখা দেখা গেছে। মাদরাসার মাঠে ধান শুকানো হচ্ছে, আর শিক্ষকদের কেউ কেউ টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন। স্থানীয় অভিভাবকগণ সরেজমিন তদন্ত করে মাদরাসার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সুপার মাওঃ বেলাল হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা সমাজের ভাল চাই না তারা এসব অপপ্রচার করছে।

    তিনি বলেন, রাজশাহীতে দুজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে সত্য,তবে বিষয়টি দেখভাল করেছেন সভাপতি সাহেব। এবিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, কম্পিউটারের দু একটা জটিল কাজ বাইরে থেকে করা হয সত্য, তবে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এবিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আগে কি হয়েছে বলতে পারবেন না,তবে তার সময়ে কোনো অনিযম বা দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, নিয়োগ দেয়া হয়েছে নিযম মেনে বাণিজ্যর অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ