• Uncategorized

    চাঁদা না দেওয়ায় আটঘরিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত

      প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ২:১০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    আলাউদ্দিন আদম স্টাফ রিপোর্টার পাবনাঃ

    পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের লেখিত অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম। তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিনিধি মোকছেদুল আলম নয়ন বলেন সঠিক কাজ করেও উপজেলা চেয়ারম্যান তানভির ইসলাম মসজিদের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মানে না, শুধু তাদের নিজ স্বার্থের জন্য। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোকছেদুল আলম নয়নের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন চেয়ারম্যানের লোক বার বার আমার কাছে এবং সাইড ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ফোনে ও সাইডে গিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি বিষয়টি আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের কাছে জানালে কোন কর্ণপাত করেন নাই। এ দিকে হঠাৎ গত ১১/০৪/২০২১ইং তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম ও তার সাথে ৩০/৪০ জন নির্মাণাধীন মসজিদটির কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানা যায়। বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের কয়েকজন জানতে পারি , এবং আমরা কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মি উপস্থিত হই । ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন কাজ বন্ধ করছি ২/১দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন। গত ১২/০৪/২০২১ ইং তারিখে নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর, পাবনা বরাবর মডেল মসজিদটি নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা (জুম মিটিং) এ আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় । ৫ সদস্য তদন্ত শেষে গত ২৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুন । তদন্ত কমিটিতে ছিলেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুন,উপজেলা প্রকৌশলী, আটঘরিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, আটঘরিয়া, সাইট ইঞ্জিনিয়ার, গণপূর্ত বিভাগ, পাবনা। প্রতিবেদনে দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ অনুযায়ী যথাযথভাবে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। এতে বলা হয়, ড্রইং, ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। রাজশাহী রুয়েট কর্তৃক পরীক্ষিন্তে রড, সিমেন্ট, বালু পাথর সহ অন্যান্য সামগ্রী যথাযথভাবে ব্যবহার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উপরোন্ত গ্রেড বীম ২৪ ইঞ্চি করার নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনকালে ২৫ ইঞ্চি পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ