• শিক্ষা

    কবি নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্ম-জয়ন্তী উদযাপন

      প্রতিনিধি ২৫ মে ২০২২ , ১:১৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ । জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্ম-জয়ন্তী। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    কলেজ প্রাঙ্গণের মিলনায়তন ভবনের ২২৩ নং কক্ষে সকাল ১০ টায় শুরু হয় এর আনুষ্ঠানিকতা। এ আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুগ্মভাবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াছমিন এবং অফিসার্স কাউন্সিলের সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ আরশাদ হোসেন চৌধূরি। উক্ত আয়োজনের মূখ আলোচক ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউর রহমান।

    সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম-জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরান তেলওয়াত, ধর্মগ্রন্থ গীতা এবং পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে। পরবর্তীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিমা আক্তার, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, নৃত্য, নাটকে মুখরিত হয়ে উঠে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম-জয়ন্তীর উদযাপন ।

    অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউর রহমান বলেন, ”নজরুল হচ্ছে দৃশ্যতঃ এক প্রতিভার নাম। নজরুলের একটি ডাক হচ্ছে দুক্ষু মিয়া, এছাড়াও নজরুলের আরও দুইটি নাম আছে তা হচ্ছে তারা ক্ষ্যাপা ও নজর আলী। সারাজীবন নজরুলের কখনও দুঃখের অভাব হয়নি এরজন্যে তিনি অন্য দুই নামের থেকে দুক্ষু মিয়া নামেই বেশি পরিচিত হয়েছিলেন। নজরুল ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, কবি, দার্শনিক। এছাড়াও তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পকের কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।”

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াছমিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম এদের তুলনা করেন বলেন, এদের একজন ছিলেন রাজনীতির কবি এবং আরেকজন সাহিত্যের কবি। এই দুইজন ছিলেন একে অপরের পরিপূরকের মতো। দুইজন মানুষই সাধারণ মানুষের মুক্তির, মানবিকতা ও সাম্যের কথা বলেছেন। এ সময় তিনি, উপস্থিত সকলের সামনে স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুপ্রেরণায় নজরুল রচিত রণসঙ্গীতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন উনার আলোচনায়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্যে নজরুল জন্ম-জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরও প্রাণ পেয়েছে। তাদের সকলের অংশগ্রহণ তাঁকে অভিভূত করেছে বলে জানান ।”

    এছাড়াও অধ্যক্ষ মহোদয় ব্যানারে কাজী নজরুল ইসলামের বাংলা জন্ম মাসের নাম ‘জ্যৈষ্ঠ’ এর বানান ভূলের তীব্র সমালোচনা করে সামনে সর্তক থাকার নির্দেশ দেন।
    পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিমা আক্তার জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা করে শেষে অনুষ্ঠানের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ